বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হচ্ছে। কার্যকর হওয়ার আগেই বিশ্বনেতারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, চেষ্টা করছেন শুল্ক কমাতে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘বিশ্বনেতারা এখন আমাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ করছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে মরিয়া।’

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এসব দেশের নেতারা আমাদের ফোন করছেন। আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন। চুক্তি করার জন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে পড়েছেন।’

হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নতুন শুল্ক কমাতে এরই মধ্যে ইসরায়েল চুক্তির চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।

৯ এপ্রিল থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলেও তা আলোচনা সাপেক্ষে কমানো যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো উল্লিখিত দেশের পথ অনুসরণ করতে পারে। তবে বিভিন্ন চুক্তির বিনিময়ে শুল্ক কতটুকু কমানো হবে, তা স্পষ্ট নয়।

আরোপিত শুল্ক নিয়ে কী করা উচিত, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেকে তা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছে না। কী করা যায়, তা নিয়ে এসব দেশের কর্মকর্তাদের উপদেশ দিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নতুন শুল্কের মুখে থাকা দেশগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে। তাদের পরামর্শ, শুল্ক কমানোর জন্য শুধু বাণিজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ঠিক হবে না। অন্যান্য খাতে কোনো সুযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের বার্তায় একটি বিষয় স্পষ্ট। তারা বলতে চাইছে, আপনাদের যদি বিশেষ কোনো কার্ড থাকে, তা ব্যবহার করা উচিত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ