Prothomalo:
2025-06-15@00:51:25 GMT

হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে

Published: 10th, April 2025 GMT

৬২২ সালে মহানবী (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় যান। ইসলামে একে বলা হয় ‘হিজরত’। হিজরি সনের সূচনা হয় মহানবীর (সা.) হিজরতের সময়কে কেন্দ্র করেই। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর আমলে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয়।

 ইতিহাস থেকে জানা যায়, বসরার গভর্নর আবু মুসা আশআরি (রা.) ওমরের কাছে এক পত্রে লেখেন, ‘আমিরুল মুমিনিন, আমাদের কাছে বহু পত্র আসে, যাতে তারিখ লেখা থাকে শাবান। কিন্তু তা চলমান বছরের, নাকি অতীতের—আমরা বুঝতে পারি না। তারপর ওমর (রা.

) সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। (ইবনুল আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ: ১ /৮)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘ওমর (রা.) হিজরি সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তখন একটি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় নবীজি (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—বিশেষত এই চারটি সময় থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে।

আরও পড়ুনকথার শেষে কেন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে হয়০৭ এপ্রিল ২০২৫

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলছিলেন নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকালের বছরের কথা, তালহা (রা.) বললেন নবুয়তের বছর থেকে এবং আলী (রা.) প্রস্তাব দেন হিজরতের বছর থেকে বর্ষ গণনা করা হোক। কিন্তু জন্ম ও নবুয়তের সন নিয়ে মতানৈক্য আছে। আর মৃত্যু শোকের স্মারক। শেষে সবাই আলী (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন, বর্ষ গণনা শুরুর ক্ষেত্রে হিজরতকে প্রাধান্য দেন। এভাবেই হিজরত থেকে হিজরি সন গণনা শুরু হয়। (আল-আইনি, উমদাতুল কারি: ১৭/৬৬)

বছরের প্রথম মাস মহররম হলো কীভাবে, সে সম্পর্কে একটি তথ্য আছে। নবীজি (সা.) হিজরত করেছিলেন রবিউল আউয়াল মাসে। ২৭ সফর থেকে শুরু করে ১২ রবিউল আউয়াল হিজরত সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ষ গণনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১৭ তম বছরের ১০ জমাদিউল আউয়াল মাসে। মাস হিসেবে রবিউল আউয়াল কিংবা জমাদিউল আউয়াল কোনোটি থেকেই বর্ষ গণনা শুরু করা হয়নি। কারণ সমকালীন আরবে মহররমই ছিল প্রথম মাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই হিসাবটি অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ৪ / ৫১৭)

আরও পড়ুনআবিসিনিয়ার এক দাসীর গল্প০৭ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জরত বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

টার্গেট আয়াতুল্লাহ খামেনি!

ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন উচ্চপদস্থ ইরানি সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঘাত-পাল্টা আঘাতে রক্ত ঝরছে দুদেশেই। এদিকে ইসরায়েলি হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা।

রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা।

প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেন, যে তালিকার প্রতি লক্ষ্য নির্ধারণ করে হামলা চালানো হয়েছে আয়াতুল্লাহ খামেনি এর বাইরে নন।

তার এমন মন্তব্যে শুধু ইরানি শীর্ষ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাই নয়। বরং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার ব্যাপারে ইসরায়েলি পরিকল্পনার তথ্য প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের শনিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় এই হামলার চেষ্টা হয়। ওই এলাকাতেই অবস্থান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতা। হামলা প্রতিহত করতে ইরানি সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।

পাস্তুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কায় সেখানে নিয়মিতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে। তাদের মতে, এসব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হয়েছে যেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কোনোভাবেই ওই এলাকায় আঘাত হানতে না পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ