Prothomalo:
2025-04-30@18:56:31 GMT

হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে

Published: 10th, April 2025 GMT

৬২২ সালে মহানবী (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় যান। ইসলামে একে বলা হয় ‘হিজরত’। হিজরি সনের সূচনা হয় মহানবীর (সা.) হিজরতের সময়কে কেন্দ্র করেই। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর আমলে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয়।

 ইতিহাস থেকে জানা যায়, বসরার গভর্নর আবু মুসা আশআরি (রা.) ওমরের কাছে এক পত্রে লেখেন, ‘আমিরুল মুমিনিন, আমাদের কাছে বহু পত্র আসে, যাতে তারিখ লেখা থাকে শাবান। কিন্তু তা চলমান বছরের, নাকি অতীতের—আমরা বুঝতে পারি না। তারপর ওমর (রা.

) সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। (ইবনুল আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ: ১ /৮)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘ওমর (রা.) হিজরি সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তখন একটি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় নবীজি (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—বিশেষত এই চারটি সময় থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে।

আরও পড়ুনকথার শেষে কেন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে হয়০৭ এপ্রিল ২০২৫

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলছিলেন নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকালের বছরের কথা, তালহা (রা.) বললেন নবুয়তের বছর থেকে এবং আলী (রা.) প্রস্তাব দেন হিজরতের বছর থেকে বর্ষ গণনা করা হোক। কিন্তু জন্ম ও নবুয়তের সন নিয়ে মতানৈক্য আছে। আর মৃত্যু শোকের স্মারক। শেষে সবাই আলী (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন, বর্ষ গণনা শুরুর ক্ষেত্রে হিজরতকে প্রাধান্য দেন। এভাবেই হিজরত থেকে হিজরি সন গণনা শুরু হয়। (আল-আইনি, উমদাতুল কারি: ১৭/৬৬)

বছরের প্রথম মাস মহররম হলো কীভাবে, সে সম্পর্কে একটি তথ্য আছে। নবীজি (সা.) হিজরত করেছিলেন রবিউল আউয়াল মাসে। ২৭ সফর থেকে শুরু করে ১২ রবিউল আউয়াল হিজরত সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ষ গণনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১৭ তম বছরের ১০ জমাদিউল আউয়াল মাসে। মাস হিসেবে রবিউল আউয়াল কিংবা জমাদিউল আউয়াল কোনোটি থেকেই বর্ষ গণনা শুরু করা হয়নি। কারণ সমকালীন আরবে মহররমই ছিল প্রথম মাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই হিসাবটি অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ৪ / ৫১৭)

আরও পড়ুনআবিসিনিয়ার এক দাসীর গল্প০৭ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জরত বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান

ভারতের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে নিজেদের আকাশসীমায় নজরদারি জোরদার করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিমানপরিবহন–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) দেশটির আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি সব ফ্লাইট চলাচলের ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইটগুলো বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোতেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্দেহজনক যেকোনো উড়োজাহাজের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনো ফ্লাইট নিয়ে সন্দেহ হলে উচ্চপর্যায়ের অনুমোদন ছাড়া ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না।

গাড়ি তল্লাশি করছেন ভারতের এক পুলিশ। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ