বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের এক দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রহমতপুর বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-জামালপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের রহমতপুর বাইপাস মোড়ে যানজট তৈরি হয়। মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন মোল্লার ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের পক্ষে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। উপদেষ্টার সঙ্গে আগামী সোমবারের আগে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চান তারা। যদি উপদেষ্টা সোমবারের মধ্যে আলোচনায় না বসেন, তাহলে মঙ্গলবার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনে পুলিশ-সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করা হবে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারের আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ধ্রুবজিৎ চলমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে তাঁর আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে থেকে একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিভিল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমানুর রহমান সাব্বির জানান, কলেজটির সমস্যার মূলে তীব্র শিক্ষক সংকট। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ, প্রতিটি বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক এবং দু’জন প্রভাষক থাকার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কোনো স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ কল জ র অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মী মাঞ্চু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ঢাকসা’। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৪৭ বছরের এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে গ্রেট অন্ধ্রকে সাক্ষাৎকার দেন লক্ষ্মী। এ আলাপচারিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করায় লক্ষ্মী বলেন— “আপনার এত সাহস হয় কী করে!”
মুম্বাইয়ে যাওয়ার ফলে কি আপনার পোশাকের স্টাইলে কোনো প্রভাব পড়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মী বলেন, “আমি আমেরিকাতে থেকেছি। সেখান থেকে হায়দরাবাদে, এখন মুম্বাইয়ে আছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি নিজেকে এইভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এই পরিশ্রম আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, যা আমাকে আমার মতো পোশাক পরতে উৎসাহ দেয়।”
এরপর সাংবাদিক সরাসরি লক্ষ্মীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন, জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি একজন পুরুষকে একই প্রশ্ন করতেন? আপনার এত সাহস হয় কী করে! আপনি কি মহেশ বাবুকে বলতেন—‘আপনার তো এখন ৫০ বছর বয়স, তাহলে আপনি কেন জামা খুলে ছবি তুলছেন?’ তাহলে একজন নারীকে কেন এই প্রশ্ন? মানুষ আপনার এই প্রশ্ন থেকে কী শিখবে? একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
পরে সাংবাদিক স্বীকার করেন যে, এই ধরনের প্রশ্ন একজন অভিনেতাকে করতেন না। প্রশ্নটি করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংবাদিক জানান, তার পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে, যার কারণে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা।
লক্ষ্মী মাঞ্চুর অন্য পরিচয় তিনি তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মোহন বাবুর কন্যা। ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহন বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এ সংসারে রয়েছে কন্যা লক্ষ্মী ও পুত্র বিষ্ণু মাঞ্চু। তারা দুজনেই অভিনয়শিল্পী।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত