নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদে বালু উত্তোলন
Published: 10th, July 2025 GMT
আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাদেও নদ থেকে প্রকাশ্যে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও, হাসানোগাঁও ও বিশাউতি মৌজায় এসব বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, হ্যান্ডট্রলি, লরি, ট্রাক এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে বালু-পাথর বহন করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, এসব অবৈধ কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এত নীরব কেন?
২০২৩ সালে সংশোধিত বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সুপারিশে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ এক অফিস আদেশে মহাদেও নদের ৬ নম্বর বালুমহাল বন্ধ ঘোষণা করেন। বাস্তবে নিষেধাজ্ঞা কাগজেই সীমাবদ্ধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত সমকালকে জানান, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ সদা প্রস্তুত। অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব বক্তব্য বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হাসানোগাঁওয়ের এক বাসিন্দা বলেন, এই ব্যবসা বছরের পর বছর চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রশাসনের সামনেই চলে সবকিছু, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
সচেতন মহল মনে করছে, প্রশাসনের এই নীরবতা রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কথা, যেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান, সেখানে অবৈধ বালু উত্তোলন দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও হাতছাড়া হচ্ছে। এ চক্রের পেছনে প্রভাবশালীদের ছায়া না থাকলে এত বড় পরিসরে অবৈধ ব্যবসা এতদিন চলতে পারত না।
এ বিষয়ে কথা বলতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠিয়েও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দ. আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে যুবাদের ওয়ানডে মিশন
দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি ওয়ানডে খেলার পর জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজই যুবারা রওনা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে।
রাজশাহী ও সিলেটে ক্যাম্পের পর ক্রিকেটাররা এবার যাচ্ছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মিশনে।
আগামীকাল বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছবে। পরদিন থেকে শুরু হয়ে যাবে অনুশীলন। ১৭ জুলাই প্রথম ওয়ানডের আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। ১৪ জুলাই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণমূলক দলের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান
র্যাংকিংয়ে জাকের-তাওহীদের উন্নতি
১৭, ১৯ ও ২২ জুলাই তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচগুলো হবে বেনোনির উইলোমোর পার্কে। দুই দল একই সঙ্গে ২৩ জুলাই জিম্বাবুয়ে উড়াল দেবে।
জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজটি হবে আগস্টে। ৪ আগস্ট জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে খেলবে। ৬ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিন পর ৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।
সিঙ্গেল রাউন্ড পদ্ধতিতে হবে এই সিরিজ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল। বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারলে আরেকটি ওয়ানডে বাড়বে। সবগুলো ম্যাচ হবে হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে। জিম্বাবুয়ে সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে।
১১ আগস্ট যুবারা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
দুই সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এর আগে তাদের ফটোসেশন হয়েছে মিরপুরে একাডেমি ভবনের সামনে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), সামিউন বশির রাতুল, দেবাশিষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফি উজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, সানজিদ মজুমদার, শাহরিয়া আল আমিন, ফারজান আহমেদ আলিফ, মো. আব্দুল্লাহ, রিফাত বেগ ও স্বাধীন ইসলাম।
স্ট্যান্ডবাই:
শাহরিয়ার আহমেদ, শাহরিয়ার আজমির, মো. সবুজ ও ফারহান শাহরিয়ার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল