আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাদেও নদ থেকে প্রকাশ্যে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও, হাসানোগাঁও ও বিশাউতি মৌজায় এসব বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, হ্যান্ডট্রলি, লরি, ট্রাক এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে বালু-পাথর বহন করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, এসব অবৈধ কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এত নীরব কেন?

২০২৩ সালে সংশোধিত বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সুপারিশে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ এক অফিস আদেশে মহাদেও নদের ৬ নম্বর বালুমহাল বন্ধ ঘোষণা করেন। বাস্তবে নিষেধাজ্ঞা কাগজেই সীমাবদ্ধ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত সমকালকে জানান, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ সদা প্রস্তুত। অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব বক্তব্য বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হাসানোগাঁওয়ের এক বাসিন্দা বলেন, এই ব্যবসা বছরের পর বছর চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রশাসনের সামনেই চলে সবকিছু, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

সচেতন মহল মনে করছে, প্রশাসনের এই নীরবতা রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কথা, যেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান, সেখানে অবৈধ বালু উত্তোলন দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও হাতছাড়া হচ্ছে। এ চক্রের পেছনে প্রভাবশালীদের ছায়া না থাকলে এত বড় পরিসরে অবৈধ ব্যবসা এতদিন চলতে পারত না।

এ বিষয়ে কথা বলতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠিয়েও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত রক ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে একই অনুষ্ঠানে গিল ও সারা, সম্পর্ক কি আবার জোড়া লেগে গেল

লন্ডনে পরশু রাতে বসেছিল সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মেলা। ক্যানসারজয়ী ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউউইক্যান ফাউন্ডেশন’ ডিনার পার্টির আয়োজন করেছিল।

সেখানে ইংল্যান্ড সফররত ভারত টেস্ট দলের সঙ্গে ছিলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারা, ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ক্রিকেটার ড্যারেন গফ ও কেভিন পিটারসেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকার এবং যুবরাজ সিং নিজে।

তবে সবাইকে ছাপিয়ে নতুন করে আলোচনায় দুজন—ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল ও শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। অতীতে গিল ও সারাকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন চললেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে-অপরকে আনফলো করে দেওয়ায়।

যুবরাজ সিংয়ের পার্টিতে সারা টেন্ডুলকারকে দেখে মুচকি হাসেন শুবমান গিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ