চারুকলায় আগুনে পুড়ল ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি`
Published: 12th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পয়রা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য নির্মাণাধীন ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুড়ে গেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগে। আগুনে শান্তির পায়রা মোটিফেরও কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চারুকলার এক শিক্ষার্থী বলেন, “এটার (‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতির’) নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছিল। আজকের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যেত। এটা নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্র।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো.
তিনি আরো বলেন, “আগুনটা ফজরের নামাজের সময় লাগানো হয়েছে। আমরা এর পরেই খবর পাই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ওটা পুড়ে যায়। আগুনটা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি৷ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল শেখ রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের ১০টায় একটা মিটিং আছে। আমরা একটা বিজ্ঞপ্তিও রেডি করেছি। মিটিংয়ের পরে আমরা অফিসিয়ালি বিবৃতিতে জানিয়ে দেব। মিটিংয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব।”
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ধারণা করে কিছু দিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে চলছিলো আলোচনা-সমালোচনা। বর্ষবরণের ঠিক দুদিন আগেই যা আগুনে পুড়ল।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন এর আদালত এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, কারাবন্দি চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের জেরে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। এর জেরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। ওই মামলায় চিন্ময়কে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম পুলিশর কাছে স্থানান্তর করেন।