আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশের কৃষিগুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একই সময়ে দেশব্যাপী ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩টি উপকেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী কিছুতেই অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের এ বিষয়ে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

দেশের কৃষিগুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষিগুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার মো.

হেলাল উদ্দীন। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষিগুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ, জিপিএ ৬ হলেই আবেদনের সুযোগ২ ঘণ্টা আগে

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিগুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ও শিক্ষাবিষয়ক শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার মো. সারওয়ার জাহান।

মো. হেলাল উদ্দীন আরও বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে এবার মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ শিক্ষার্থী, অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করছেন ২৪ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘পরীক্ষার দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নদের পাড়সহ আশপাশের এলাকায় আগের রাত থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সার্বক্ষণিক তদারকি থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের আগে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে কেউ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নিষিদ্ধ উপকরণ সঙ্গে না আনতে পারে।’

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদনের সময় আবার বৃদ্ধি, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে০৯ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘একই দিনে “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি থাকায় পরীক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ, যাতে তাঁরা অন্তত এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছে যান। এতে করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতেও তাঁরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।’ এ সময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তির আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের সব তথ্য দিয়েছেন। সেখান থেকে বাকৃবি কেন্দ্রে এ রকম কোনো পরীক্ষার্থী এখনো পাওয়া যায়নি। এরপরও যদি এ রকম কেউ থেকে থাকেন, তাহলে আমাদের জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পরীক্ষার সময়সূচি ১২ এপ্রিল বেলা ৩টা এবং পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না—এই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি এড়াতে প্রত্যেকের মুঠোফোনে আলাদা বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ