কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে পরীক্ষার্থী ২৪ জন
Published: 12th, April 2025 GMT
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশের কৃষিগুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একই সময়ে দেশব্যাপী ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩টি উপকেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী কিছুতেই অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের এ বিষয়ে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দেশের কৃষিগুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষিগুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার মো.
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিগুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ও শিক্ষাবিষয়ক শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার মো. সারওয়ার জাহান।
মো. হেলাল উদ্দীন আরও বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে এবার মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ শিক্ষার্থী, অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করছেন ২৪ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘পরীক্ষার দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নদের পাড়সহ আশপাশের এলাকায় আগের রাত থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সার্বক্ষণিক তদারকি থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের আগে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে কেউ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নিষিদ্ধ উপকরণ সঙ্গে না আনতে পারে।’
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদনের সময় আবার বৃদ্ধি, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে০৯ এপ্রিল ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘একই দিনে “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি থাকায় পরীক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ, যাতে তাঁরা অন্তত এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছে যান। এতে করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতেও তাঁরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।’ এ সময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তির আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের সব তথ্য দিয়েছেন। সেখান থেকে বাকৃবি কেন্দ্রে এ রকম কোনো পরীক্ষার্থী এখনো পাওয়া যায়নি। এরপরও যদি এ রকম কেউ থেকে থাকেন, তাহলে আমাদের জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পরীক্ষার সময়সূচি ১২ এপ্রিল বেলা ৩টা এবং পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না—এই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি এড়াতে প্রত্যেকের মুঠোফোনে আলাদা বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫