গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে রাবিতে প্রতিবাদী কবিতা পাঠ
Published: 13th, April 2025 GMT
ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ও গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবাদী কবিতা পাঠ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহীর কবিরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের উদ্যোগে এ কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আকন্দ বলেন, “শব্দকলা সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে। এ পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি, তা সবকিছুই বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও মানবতার জন্য। ভিডিও গেমসের মতো যেভাবে গাজা ও রাফা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, তারই প্রতিবাদে আজ আমদের কবিতা পাঠের আয়োজন করেছি।”
রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার কবিতার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন, তখন কিন্তু মিডিয়া এত শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু তবুও তাকে কবিতা লিখে কারাবরণ করতে হয়েছিল। আমার বিশ্বাস, এ কবিতার যে প্রচণ্ড শক্তি আছে, তা ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর গদিকে নাড়িয়ে দেবে।”
এর আগে, কবিতা পাঠ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “কবিতা হলো হৃদয়ের ভাষা। অল্প কথাতে হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতিকে প্রকাশ করতে কবিতার চেয়ে সুন্দর আর কোনো মাধ্যম নেই। কবিতা যেমন কোমলতার কথা বলে, তেমনি যুদ্ধ, দ্রোহ, বিদ্রোহের ভাব প্রকাশ করার এক অন্যতম মাধ্যম। অবিচারের বিরুদ্ধে সুবিচারের যে যুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধের অনেকগুলো দিক আছে। মাঠে যেমন যুদ্ধ হয়, জ্ঞ্যানের রাজ্যে যুদ্ধ হয়, তেমনি এক মস্ত বড় যুদ্ধ হলো এ ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।”
তিনি আরো বলেন, “সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এ যুদ্ধকে শক্তিশালী করা বিশাল একটা সংগ্রাম। কারণ এটা মানুষকে উজ্জীবিত করে এবং প্রতিবাদী হতে শেখায়। আমি চাই, এ ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন হচ্ছে, তেমনিভাবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ুক।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকা কক্সবাজার এক্সপ্রেস
ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকে পড়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় ট্রেনটি নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে ইসলামাবাদ স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় বিকল হয়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনটির আট শতাধিক যাত্রী।
ইসলামাবাদ স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ কাইয়ুম বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর দুপুর পৌনে ১টায় আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে ট্রেনটি ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছালে আকস্মিক ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ট্রেনটির ২৩টি বগিতে আট শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার স্টেশনে কোনো ধরনের রিলিফ ট্রেন বা লোকোশেড নেই। এতে ট্রেনটি চালু করতে চট্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিন আনতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়। একটি নতুন ইঞ্জিন নিয়ে একটি রিলিফ ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টার পর। পরে নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে বিকেল ৫টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইসলামবাদ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।