বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং ফেলোশিপ, ফি ১০০০০
Published: 15th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) শিশু বিভাগের অ্যাডভান্স ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপ ট্রেনিং প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদন চলছে। জুলাই-২০২৫ সেশনে এক বছর মেয়াদি এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। শিশু বিষয়ে এমডি বা এফসিপিএস অথবা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিশু বিভাগের অধীনে শিশু রিউমাটোলজি ডিভিশন পরিচালিত জুলাই-২০২৫ সেশনে এক বছর মেয়াদি অ্যাডভান্স ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপ ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার আহ্বান করা যাচ্ছে। আগ্রহী প্রার্থীদের শিশু বিষয়ে এমডি বা এফসিপিএস অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি উভয় প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫আবেদনের শর্তে বলা হয়েছে, কোর্সটি সার্বক্ষণিক। নির্বাচিত প্রার্থীদের সার্বক্ষণিকভাবে শিশু বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। কোর্স ফি ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা, যা নির্বাচিত প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া কোর্স শুরুর সময় শিশু ডিভিশনের অ্যাকাউন্টে নিরাপত্তা জামানত (কশান মানি) ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।
১২ এপ্রিল থেকে অফিস চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের ২০৭ নং কক্ষ থেকে ২০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ এপ্রিল।
বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত দেখতে এখানে করুন।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।
বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।
এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।
রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।
তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫