দুই–দু্ইবার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেললেও শিরোপার দেখা পায়নি রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। এবার নিজেদের ইতিহাসটা নতুন করে লেখার স্বপ্নই দেখেছিল পুরান ঢাকার দলটি। কিন্তু হলো না!

বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ১২৬ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ২–১ গোলে হেরেছে কামাল বাবুর দল। আর পঞ্চমবারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে কিংসের কাছে বিকেলটা আনন্দময় করে তোলেন বদলি নামা অখ্যাত তরুণ ইনসান হোসেন।

২২ এপ্রিল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভালেরিও তিতার দলের প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড। প্রথম কোয়ালিফিয়ারে যাদের কাছে টাইব্রেকারে ৪–২ গোলে হেরেছিল কিংস।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ ম্যাচের ১১১ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল ১–১। কিন্তু এক ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে চলে হাতাহাতি, চার মিনিটের মতো খেলা বন্ধ থাকার পর ছন্দপতন হয় রহমতগঞ্জের। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগায় কিংস।

১০৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের তাজ উদ্দিন ফাউল করেন তাঁরই ভাই কিংসের সাদ উদ্দিনকে। সেই ফাউল নিয়ে কিংসের মজিবুর রহমান আর রহমতগঞ্জের আক্কাস আলীর মধ্যে খানিকটা হাতাহাতি লেগে যায়। মুহূর্তেই দুই দলের খেলোয়াড়েরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান।

তার একটু পরই পোস্ট ছেড়ে ডাগআউটের দিকে চলে আসতে দেখা যায় রহমতগঞ্জের গোলকিপার আহসান হাবিবকে। রেফারি জালাল উদ্দিন ও ম্যাচ কমিশনার মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রায় চার মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ আবার শুরু হয়।

এরপর ১১২ মিনিটে ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে কিংস। রাকিবের লম্বা ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ইনসান। শেষ পর্যন্ত তাঁর গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

এর আগে ৭৪ মিনিটে নাবিব নেওয়াজের পাস থেকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান রহমতগঞ্জের সলোমন কিং। গোল শোধ করতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি কিংসকে। ৮১ মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস থেকে আলতো শটে বল জালে পাঠান রাকিব হোসেন।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে কিংস। দুই মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে গোলমুখে ক্রস দেন ইভান্স ইত্তি। রহমতগঞ্জের এলোমেলো রক্ষণভাগ পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি হুয়ান লেসকানো। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বল খানিকটা দিক বদলায়। সেই আলগা বল ডি–বক্সে পেয়েও নিশানায় শট নিতে পারেননি রাকিব।

এর ঠিক এক মিনিট পর আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কিংসের এই ফরোয়ার্ড। বক্সের বাঁ পাশ থেকে বল বাড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন লেসকানো। অরক্ষিত পোস্ট পেয়েও সেই বল জালে পাঠাতে পারেননি রাকিব।

কিংসের আক্রমণ ঠেকিয়ে যাওয়া রহমতগঞ্জ ২৭ মিনিটে ফ্রি–কিক পায়। কিন্তু সলোমন কিংয়ের নেওয়া সেই কিকে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ। ৩৪ মিনিটে রহমতগঞ্জের স্ট্রাইকার স্যামুয়েল বোয়াটেং কিংসের দুজন খেলোয়াড়কে কাটালেও শেষ পর্যন্ত তপু বর্মণের বাধায় আটকে গেছেন।

৪০ মিনিটে লেসকানোকে ফাউল করেন রহমতগঞ্জের শাকিল। শেখ মোরছালিনের ফ্রি–কিক পোস্টের পাশ দিয়েই চলে যায়। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও তিনটি দারুণ আক্রমণ তৈরি করেও গোল আদায় করতে পারেনি কিংস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র নন ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা