সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক ও সুবিদ আলীর সম্পদ জব্দের আদেশ
Published: 16th, April 2025 GMT
সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালত রাজশাহী–১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আটটি দলিলে কেনা ওমর ফারুক চৌধুরীর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীর ৫৭টি ব্যাংক হিসাব এবং নিগার সুলতানা চৌধুরীর আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে তারা।
সুবিদ আলীর সম্পদ জব্দের আদেশ
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও তিতাস) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আখতারের ১৩টি দলিলে থাকা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মাহমুদা আখতারের নামে থাকা শেয়ারও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তাঁর স্ত্রীর ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৩৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুবিদ আলী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও ইউরো এশিয়া শিপিং এজেন্টের মালিক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওমর ফ র ক চ ধ র স ব দ আল
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।