সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের নগরডালা বাজার, রতনকান্দি বাজার ও ডায়া বাজারের অন্তত ১৫টি দোকান থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মো.

সোহেল রানার মোবাইল ফোনে (০১৮৬০ ৪৯১৮৩৩) কল আসে। অপরপ্রান্ত থেকে এসিল্যান্ডের পরিচয় দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার সুকুমারকে চাওয়া হয়। সুকুমারকে ফোন দেওয়া হলে বলা হয় ইউনিয়নের মিষ্টির দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। যারা টাকা দেবে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত যাবে না। তার কথা মতো দফাদার সুকুমার নগরডালা বাজারের মিষ্টির দোকানদার সুভদ্র ও কৃষ্ণ চন্দ্র রায়কে নিয়ে গৌতম দাস, গোপেন, সন্তোষ মোদক এবং ময়না দত্তের মিষ্টির দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা তোলেন। একইভাবে রতনকান্দি বাজার থেকে সাদ্দাম, আরিফ, জয়নাল ও লিটনের দোকান থেকে ১০ হাজার ৩শ টাকা, ডায়া বাজার থেকে ৮ হাজার ৩শ টাকা তুলে (০১৬২২৮৬৯৯৮৩) বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। টাকা পাঠানোর পর নাম্বার বন্ধ হয়ে যায়। এতে সন্দেহ হলে ভুক্তভোগীরা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমানকে জানান। তিনি ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রতারক চক্র সহজসরল দোকানদারদের কাছে এসিল্যান্ড পরিচয় ব্যবহার করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের শাহজাদপুর থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ এস ল য ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ