এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ১৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 17th, April 2025 GMT
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে দুই হাজার ৬১৯ কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার টাকা রয়েছে। দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নামে কুমিল্লার মনোহরপুরে থাকা ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ শতক জমি ও ১৬ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নিজের ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার একই আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১১ নভেম্বর আদালত বাহাউদ্দিন বাহার, তার স্ত্রী মেহেরুনন্নেছা, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা ও ছেলে আয়মান বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
আনোয়ারুলের জমি, ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
দুদকের মামলা চলমান থাকায় নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খানের নামে ঢাকা ও নরসিংদীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ২ দশমিক ৪১ একর জমি ও গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার একই আদালত এ আদেশ দেন।
এসব জমি ও ফ্লাটের দলিল মূল্য ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৭২০ টাকা। এছাড়াও আনোয়ারুল আশরাফের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৩০টি হিসাবে থাকা ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৩০৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এস আলম গ র প এস আলম এমপ ব হ র ক হ স ব অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।