সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) সাবেক চেয়ারম্যান। ঋণের নামে এ ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.

মাহফুজ ইকবাল গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের আবেদন করা হয়। প্রভাব খাটিয়ে তা মঞ্জুর ও পরে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়। এই ২০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং ও মডেল ট্রেডিং নামের কাগুজে প্রতিষ্ঠান। ব্যবসার চলতি মূলধনের জন্য ঋণ নেওয়া হলেও টাকা ভিন্ন খাতে খরচ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী রুকমীলা জামান, ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সবুর, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শওকত জামিল, সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, হাজী আবু কালাম, ইউনুছ আহমদ, আফরোজা জামান, মো. জোনাইদ শফিক, মো. শাহ আলম, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইমিনেন্ট ট্রেডিংয়ের মালিক শেখ ফুরকানুল হক চৌধুরী, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজীজ, মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান আরফানুল ইসলাম, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিছুল ইসলাম, সাবেক এফএভিপি ও ব্যবস্থাপক (পরিচালন) আনিসুর রহমান এবং সাবেক সিনিয়র অফিসার মুনতাকা মুহাম্মদ সাইয়্যিদ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম, নাবিল গ্রুপের মালিকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গুলশান শাখা থেকে নেওয়া ঋণের ৩৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), নাবিল গ্রুপের মালিক মো. আমিনুল ইসলামসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করা হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. হাছানুজ্জামান, নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি মামুন অর রশিদ ও চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাবেক ডিএমডি) মিফতাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসি কমিটির সদস্য মুহাম্মদ কায়সার আলী, এফএভিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, এভিপি ও ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ (গুলশান শাখা) মো. আকির হোসেন মিজি, ইডিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক এ টি এম শহিদুল হক, আইসি কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ডিএমডি ও আইসি কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিইও ও ইনভেস্টমেন্ট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালেহ জহর, ডিএমডি ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ।

এ ছাড়া আসামিদের তালিকায় আরও আছেন ইসলামী ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তানভীর আহম্মদ, মো. সামিউল আলম, সদস্য ও সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল হক, এসইভিপি মো. আলতাফ হোসাইন, এসইভিপি জি এম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, পরিচালক আবদুল্লাহ আল-রাজি, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মোহাম্মদ সোলায়মান, আরিফ সুলেমান, মো. সিরাজুল করিম, মো. জামাল উদ্দিন, মো. জয়নাল আবেদীন, কাজী শহিদুল আলম, খুরশীদ উল আলম, মো. কামাল হোসেন গাজী, মো. নাদির উদ্দিন, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ গাজী, ধোলাইখাল শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, সিন্ডিকেট ফিন্যান্স বিভাগের মীর মোবাশ্বির হোসেন, এভিপি মো. কামরুজ্জামান, এফএভিপি মাসুদ মোহাম্মদ ফারুক, এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য মো. কামরুল হাসান ও প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী ফারজানা ইশরাত।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের প্রস্তাবনা অনুমোদন ও রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নবগঠিত প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ৬৭০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা মঞ্জুর করা হয়। এর মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এস আলম, নাবিল গ্রুপের মালিকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা