সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 18th, April 2025 GMT
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) সাবেক চেয়ারম্যান। ঋণের নামে এ ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.
এজাহারে বলা হয়, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের আবেদন করা হয়। প্রভাব খাটিয়ে তা মঞ্জুর ও পরে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়। এই ২০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং ও মডেল ট্রেডিং নামের কাগুজে প্রতিষ্ঠান। ব্যবসার চলতি মূলধনের জন্য ঋণ নেওয়া হলেও টাকা ভিন্ন খাতে খরচ করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী রুকমীলা জামান, ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সবুর, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শওকত জামিল, সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, হাজী আবু কালাম, ইউনুছ আহমদ, আফরোজা জামান, মো. জোনাইদ শফিক, মো. শাহ আলম, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইমিনেন্ট ট্রেডিংয়ের মালিক শেখ ফুরকানুল হক চৌধুরী, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজীজ, মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান আরফানুল ইসলাম, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিছুল ইসলাম, সাবেক এফএভিপি ও ব্যবস্থাপক (পরিচালন) আনিসুর রহমান এবং সাবেক সিনিয়র অফিসার মুনতাকা মুহাম্মদ সাইয়্যিদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।