মায়ের পিস্তল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালাল যুবক, নিহত ২
Published: 18th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এফএসইউ) বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে স্থানীয় ডেপুটি শেরিফের সন্তান তার মায়ের পিস্তল ব্যবহার করে এ হামলা চালায়।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসি লিওন কাউন্টির শেরিফ ওয়াল্টার ম্যাকনিল বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। তিনি ডেপুটি শেরিফের ছেলে ফিনিক্স আইকনার। ঘটনাস্থল থেকে যে সব বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি ওই কর্মকর্তার।
পুলিশ জানায়, হামলার সময় আইকনারের ওপর পুলিশ পাল্টা হামলা চালালে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিওন কাউন্টি শেরিফ বলেন, হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি। আইকনার এই হামলায় তার মায়ের পিস্তল ব্যবহার করে, যেটি একসময় তার মা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে তিনি এটি কিনে নেন এবং তা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রে পরিণত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বাহিনীর প্রধান জেসন ট্রামবাওয়ার জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ফিনিক্স আইকনার (২০) ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসিতে অবস্থিত এফএসইউর শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।
কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, আইকনার পিস্তলের পাশাপাশি একটি শটগানও নিয়ে এসেছিলেন। তবে ওই শটগান হামলায় ব্যবহার হয়েছে কী না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত ন হত ব যবহ র আইকন র
এছাড়াও পড়ুন:
জনতার প্রত্যাশা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনায় কাজে লাগাতে চাই : মাসুদুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জের জনগণের প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা ও উন্নয়নমূলক চাহিদাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত “মাসুদুজ্জামানের প্রত্যাশার ক্যানভাস” ৪ দিন ব্যাপী কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান বুধবার সকালে চাষাড়া শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী, ও ক্রীড়ানুরাগী মাসুদুজ্জামান। বিগত চার দিন যাবৎ সদর ও বন্দরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারী হাজী ইব্রাহীম আলমচান স্কুল এন্ড কলেজ ও মদনপুর নাজিম উদ্দিন ভূইয়া কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী জনমত গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
যেখানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এবং মাদক, যানযট, ছিনতাই ও সন্ত্রাস-সহ শিক্ষা, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সেবা–ব্যবস্থা বিষয়ে প্রায় ২,০০০ মানুষ তাদের প্রত্যাশা ও মতামত লিখিতভাবে ক্যানভাসে তুলে ধরেন।
আজকের সমাপনী অনুষ্ঠানে মাসুদুজ্জামান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা জানাই আমাদের প্রকৃত লক্ষ্য। যে পরিবর্তন মানুষ দেখতে চায়, তাদের কাছ থেকেই তা সরাসরি জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি জানান, গত চারদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত “জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” কার্যক্রমে সংগ্রহ করা সব লিখিত মতামত ইতোমধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং এগুলো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, গবেষণা ও নীতি–প্রস্তাবনার ভিত্তি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো, সড়কব্যবস্থা, নগরসেবা ও স্থানীয় সুযোগ–সুবিধার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অনেক সময় নাগরিকের প্রকৃত চাহিদা পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয় না, যার ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা, এবং উন্নয়ন অবকাঠামোয় সীমাবদ্ধতা দেখা দেয় যা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো নারায়ণগঞ্জেও এমন উদাহরণ রয়েছে, যেখানে মানুষের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় বিভিন্ন প্রকল্প টেকসই হয়নি বা সাধারণ মানুষের উপকারে আসেনি।
জনসাধারণের মতামতের গুরুত্ব আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আমরা বিশ্বাস করি নাগরিকদের প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা ও বাস্তব সমস্যাকে ভিত্তি করে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব উন্নয়নের পথ তৈরি হয়।
এই উদ্যোগে মানুষ সরাসরি লিখিতভাবে জানিয়েছেন তারা কোন পরিবর্তন চান, কোন সমস্যার সমাধান জরুরি এবং স্থানীয় উন্নয়ন নিয়ে তাদের অভিমত কী। সব মতামত অগ্রাধিকার অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজে লাগাতে চাই।
আজকের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য একটি উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ স্বাধীনভাবে তাঁদের চাহিদা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন।
সংগৃহীত এই লিখিত মতামতই নারায়ণগঞ্জের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন–অগ্রাধিকার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হবে— মনটাই বিশ্বাস করেন নারায়ণগঞ্জের সাধারন জনগণ।