নির্বাচনের সময় নিয়ে ‘স্পষ্ট’ হওয়ার জন্য বিএনপি যেদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করল, সেদিনই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলল, মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপি যেখানে ন্যূনতম বা জরুরি সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, সেখানে ‘মৌলিক পরিবর্তন’ বলতে এনসিপি কী বোঝাতে চাচ্ছে, সেই আলোচনাও সামনে এসেছে।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গঠিত দলটির নেতারা বলছেন, মৌলিক পরিবর্তন বা সংস্কার মানে হচ্ছে ক্ষমতার ভারসাম্য। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান ক্ষমতাকাঠামো এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এ ব্যবস্থা সংবিধানের মাধ্যমে সমর্থিত হওয়ার কারণেই শেখ হাসিনার সরকার ‘ফ্যাসিবাদী’ হয়ে উঠতে পেরেছিল। ফলে কোনো বড় রাজনৈতিক দল যদি রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোকেন্দ্রিক সংস্কারের বিরোধিতা করে অন্য সব সংস্কারে রাজিও হয়, তাতে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে না।

ন্যূনতম সংস্কার বলতে কিছু নেই। সংস্কার মানেই মৌলিক গুণগত পরিবর্তন। মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে সবাইকে একমত হতে হবে।নাহিদ ইসলাম, আহ্বায়ক, এনসিপি

মৌলিক সংস্কার বলতে এনসিপির শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কিছু প্রস্তাবের কথা বলছেন। সব প্রস্তাবই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার সঙ্গে যুক্ত। এগুলো হলো প্রধানমন্ত্রীর একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা, একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ, সাংবিধানিক বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, সরকারি দল ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিসহ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসি গঠন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে নিম্নকক্ষে সংসদীয় আসন ও উচ্চকক্ষ আনুপাতিক ভোটভিত্তিক নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বর ত ক ষমত এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ