সিনেমা পর্দায় এখন আর দেখা মেলে না শিল্পা শেঠির। মাঝে মাঝে টিভি রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে দেখা যায় তাঁকে। স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিতর্কিত নানা ঘটনায় অর্থ হারিয়েছেন অনেক। এর পরও নিয়মিত বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন তারকাদের তালিকায় শিল্পার নাম রয়ে গেছে ওপরের সারিতে। কিন্তু কীভাবে এই অভিনেত্রী ধনরাশি বাড়িয়ে চলছেন? অনেকের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া এ প্রশ্নের জবাব দিতে এবার মুখ খুলেছেন শিল্পা নিজেই। ফাঁস করেছেন তাঁর টাকায় আয়ের কৌশল। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির অভিনয় ব্যস্ততা এখন নেই বললেই চলে। তার পরও টাকা আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়নি তাঁর।
এক অদ্ভুত উপায়ে বিপুল অঙ্কের মালকিন বনে গেছেন তিনি। কীভাবে হলেন? এমন প্রশ্নে শিল্পী বলেন, ‘আট বছর আগে একটি প্রসাধনী সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার। অথচ আমাকে শুভেচ্ছাদূত করার মতো টাকা তাদের ছিল না। কারণ সংস্থাটির পুঁজি ছিল মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। শুভেচ্ছাদূত করার টাকা নেই, তবু একটা আশা নিয়ে আমার কাছে এসেছিল; যা আমার মনকে দারুণভাবে নাড়া দেয়। সে কারণেই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম ওদের অংশীদার হওয়ার। এরপর ওই সংস্থায় বিনিয়োগ। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করে গেছি; যার সুবাদে আট বছরের মধ্যে ওই সংস্থা ইউনিকর্ন ১০০ কোটি টাকা মূল্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালে আইপিওতে নাম তুলেছে।
২০১৮ সালে মাত্র ৬.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী