চীনের অর্থায়নে ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল করার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 19th, April 2025 GMT
চীনের অর্থায়নে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’ ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণের দাবি উঠেছে। আজ শনিবার বেলা তিনটায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ঢাকায় অবস্থানরত ঠাকুরগাঁওয়ের শতাধিক বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বহুকাল ধরেই অবহেলিত। ঠাকুরগাঁওয়ের আশপাশের জেলাগুলোয় হাসপাতাল রয়েছে। রংপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজে রয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড়, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁওয়ে এসবের কিছুই নেই। রোগীরা ঢাকা আসার পথেই জীবন হারান।
মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ঠাকুরগাঁওকে কেন্দ্র করে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ হলে ৪০–৫০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
এ সময় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও থেকে আমার ডাক্তার বন্ধু অসুস্থ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যেই মারা যায়। তাহলে চিন্তা করুন, আমাদের অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কীভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা সোসাইটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবেন। এটা হবে তাঁদের জন্য উন্নয়নের প্রথম পদক্ষেপ।
মানববন্ধনে বক্তব্য পর্বটি সঞ্চালনা করেন ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহমান। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল, ঢাকায় ঠাকুরগাঁও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব, ঢাকায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সদস্যসচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে দুই দিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকার পর আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এটি দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে আগের মতো দর্শনার্থীরা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি ঘুরে দেখতে পারছেন।
রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ১১ জুন থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা ফিরে গিয়েছেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সুধীসমাজের সঙ্গে কথা বলে এটিকে চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন এবং সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে কাছারি বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ব্যাপারে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আজ শুক্রবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ৮ জুন মোটরসাইকেল পার্কিংকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে এক দর্শনার্থীকে আটকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দর্শনার্থী মো. শাহনেওয়াজ কাস্টোডিয়ানসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় ওই দিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে ‘শাহজাদপুরের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শাহজাদপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন হামলা চালিয়ে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ানের কার্যালয়সহ মিলনায়তনের দরজা-জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এমন অবস্থায় বুধবার সকাল থেকে কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছিল।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নামে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।