চীনের অর্থায়নে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’ ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণের দাবি উঠেছে। আজ শনিবার বেলা তিনটায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে ঢাকায় অবস্থানরত ঠাকুরগাঁওয়ের শতাধিক বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বহুকাল ধরেই অবহেলিত। ঠাকুরগাঁওয়ের আশপাশের জেলাগুলোয় হাসপাতাল রয়েছে। রংপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজে রয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড়, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁওয়ে এসবের কিছুই নেই। রোগীরা ঢাকা আসার পথেই জীবন হারান।

মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ঠাকুরগাঁওকে কেন্দ্র করে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ হলে ৪০–৫০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।

এ সময় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও থেকে আমার ডাক্তার বন্ধু অসুস্থ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যেই মারা যায়। তাহলে চিন্তা করুন, আমাদের অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কীভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা সোসাইটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবেন। এটা হবে তাঁদের জন্য উন্নয়নের প্রথম পদক্ষেপ।

মানববন্ধনে বক্তব্য পর্বটি সঞ্চালনা করেন ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহমান। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল, ঢাকায় ঠাকুরগাঁও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব, ঢাকায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সদস্যসচিব মো.

মকছেদুল ইসলাম, ঢাকায় রানীশংকৈল থানা কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি ওসমান গনি প্রমুখ।

আরও পড়ুনবড় হাসপাতাল করতে চায় চীন ১৩ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন। 

আরো পড়ুন:

আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ

জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন

আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।” 

চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।

২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। 

ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দর নির্বাচনী আসনকে দুই ভাগে বিভক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক
  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
  • ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’