প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ‘সক্রিয় কর্মী’ জাহিদুল ইসলামের (২২) গায়েবানা জানাজা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। রোববার রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ জানাজা হয়।

গায়েবানা জানাজা শেষে ভিসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে মল চত্বরে যান ওই শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘লাল জুলাইয়ের বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

শনিবার রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে জাহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। জাহিদুল ইসলাম পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না, তা তদন্তের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

হত্যাকাণ্ডের সময় সিসিটিভি ফুটেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে দেখা গেছে দাবি করে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় কথা হয়েছিল, আন্দোলন সফল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে এই সংগঠন ভেঙে দেওয়া হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ৫ আগস্টের পর এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে একদল ‘কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলে’ লিপ্ত রয়েছে।

আরও পড়ুনহাসাহাসিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে হত্যা১৯ এপ্রিল ২০২৫

এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে লাশের রাজনীতি, খুন, হত্যার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন। অথচ ৫ আগস্টের পর সেই আগের মতোই দেখা যাচ্ছে, সামান্য ঘটনা নিয়ে খুন করে ফেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ দরকার।

আরও পড়ুনজাহিদুল হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতাকে দায়ী করলেন ছাত্রদল সভাপতি৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী