ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহিদুল ইসলামের গায়েবানা জানাজা
Published: 21st, April 2025 GMT
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ‘সক্রিয় কর্মী’ জাহিদুল ইসলামের (২২) গায়েবানা জানাজা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। রোববার রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ জানাজা হয়।
গায়েবানা জানাজা শেষে ভিসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে মল চত্বরে যান ওই শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘লাল জুলাইয়ের বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে জাহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। জাহিদুল ইসলাম পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না, তা তদন্তের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের সময় সিসিটিভি ফুটেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে দেখা গেছে দাবি করে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় কথা হয়েছিল, আন্দোলন সফল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে এই সংগঠন ভেঙে দেওয়া হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ৫ আগস্টের পর এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে একদল ‘কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলে’ লিপ্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনহাসাহাসিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে হত্যা১৯ এপ্রিল ২০২৫এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে লাশের রাজনীতি, খুন, হত্যার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন। অথচ ৫ আগস্টের পর সেই আগের মতোই দেখা যাচ্ছে, সামান্য ঘটনা নিয়ে খুন করে ফেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ দরকার।
আরও পড়ুনজাহিদুল হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতাকে দায়ী করলেন ছাত্রদল সভাপতি৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।