শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করেনি ক্রাফটসম্যান, নিরীক্ষকের আপত্তি
Published: 21st, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানি ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। তাই কোম্পানিটির আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এমন অসঙ্গতির তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৭৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগের ৪৭ লাখ ১ হাজার টাকা অন্তর্ভুক্ত আছে।
কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরণের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরণ না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতীত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৪.
ঢাকা/এনটি/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।
অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।