মার্চের শুরুর দিকের কথা। লিভারপুলের সামনে তখন তিন শিরোপা জয়ের হাতছানি। প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ কাপ—তিনটিতেই ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল অ্যানফিল্ডের দলটিকে। আর তিন শিরোপা জিতিয়ে মোহাম্মদ সালাহর ব্যালন ডি’অর জেতাও তখন আলোচনার কেন্দ্রে।

লিভারপুল ছাড়ার আগে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেতে উন্মুখ ছিলেন সালাহ নিজেও। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় সালাহর স্বপ্ন। মাত্র ৫ দিনেই তিন শিরোপার দুটিই হাত ফসকে যায় লিভারপুলের। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়া দলটি লিগ কাপের ফাইনালে হারে নিউক্যাসলের কাছে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ই সালাহর ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্নকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে। এমনকি প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সও (৩২ ম্যাচে ২৭ গোল ও ১৮ সহায়তা) এখন আর আশা দেখাতে পারছে না সালাহকে। কেবল অতিনাটকীয় কিছুই এখন পারে সালাহর হাতে ব্যালন ডি’অর তুলে দিতে।

আরও পড়ুনব্যালন ডি’অরের পথে সালাহ, প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পথে লিভারপুল২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শুধু সালাহই নন, রেস থেকে এরই মধ্যে পিছিয়ে গেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং জুড বেলিংহামরাও। কারণও একই। চ্যাম্পিয়নস লিগ–ব্যর্থতা। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা রিয়াল এবার কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেই বিদায় নিয়েছে। রিয়াল লা লিগার জয়ের দৌড়েও পিছিয়ে আছে বার্সেলোনার চেয়ে।

শনিবার সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা বার্সাই এখন লিগ জয়ের রেসে ফেবারিট। আজ বিলবাওয়ের বিপক্ষে রিয়াল জিতলে ব্যবধানটা নেমে আসবে চারে। পিছিয়ে থাকলেও রিয়ালের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতলেও তা ব্যালন ডি’অর জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না ভিনি-এমবাপ্পেদের।

সালাহর হতাশা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ