নির্বাচনের জন্য নতুন করে আর আন্দোলনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান (দুদু)। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফাসংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস অতিসম্প্রতি বলেছিলেন ডিসেম্বরে নির্বাচন করবেন। তারপর আবার মধ্যরাতে সংশোধন করে প্রেসনোট দিয়ে জুনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেওয়া হোক। এ জন্য নতুন করে আর আন্দোলনের দরকার নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বিএনপির একার দফা না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী করবে, সেগুলো ৩১ দফায় বিস্তারিত বলা আছে। সংস্কারের প্রশ্নে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ৩১ দফার বিকল্প নেই।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও যোগ দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, মাহাদী আমিন, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবাসহ জেলা বিএনপির নেতারা।

কর্মশালায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের ছয় শতাধিক নেতা অংশ নিয়েছেন। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে কর্মশালায় বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ