অভিবাসী-বিরোধী মার্কিন বিজ্ঞাপনের সমালোচনায় মেক্সিকোর প্রেসিডেন
Published: 22nd, April 2025 GMT
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম দেশটির বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত মার্কিন সরকারের অভিবাসী-বিরোধী বিজ্ঞাপনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিজ্ঞাপনটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২১ এপ্রিল) মার্কিন সরকার নির্মিত অভিবাসী-বিরোধী একটি বিজ্ঞাপন মেক্সিকোর বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হয়।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত পুতিন
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম বিজ্ঞাপনটির সমালোচনা করে বলেন, বিজ্ঞাপনটিতে ‘অত্যন্ত বৈষম্যমূলক বিষয়বস্তু’ রয়েছে, যা মানুষের মর্যাদার ওপর আঘাত করে এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যাখ্যান ও সহিংসতা উসকে দিতে পারে।
তিনি জানান, তার প্রশাসন বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে ফেলার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দিয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, মেক্সিকোর সংবিধান অনুযায়ী ‘বৈষম্যমূলক যেকোনো কাজ বা চর্চা’ নিষিদ্ধ।ফেডারেল টেলিযোগাযোগ আইনের ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে শৈল্পিক, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, জাতীয় ঐক্য এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’র নীতিগুলো লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনটির নেপথ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপনটি প্রচারের প্রতিক্রিয়ায় শাইনবাউম বলেন, তার প্রশাসন ফেডারেল টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার আইনের একটি ধারা পুনর্বহাল করার উদ্যোগ নেবে; ওই ধারায় রেডিও এবং টেলিভিশন লাইসেন্সধারীদের বিদেশি সরকারের অর্থপ্রদানকৃত রাজনৈতিক, আদর্শিক বা বাণিজ্যিক প্রচারণা সম্প্রচার নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, “এটি আবারও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি অপসারণ করা উচিত হয়নি। আমি ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি যে, কীভাবে এবং কোন যুক্তিতে এই ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং মেক্সিকোর প্রতি শ্রদ্ধা এটিকে আইনে পুনঃস্থাপনের নিশ্চয়তা দেয়।”
শেইনবাউম প্রশাসন বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোকে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা অবৈধ অভিবাসীদের সতর্ক করেছেন।
এক মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আপনি যদি অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের কথা ভাবছেন, তবে এটি নিয়ে ভাববেন না। আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন: আপনি যদি আমাদের দেশে আসেন এবং আমাদের আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব। অপরাধীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হয় না।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ব জ ঞ পনট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।