মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি
Published: 22nd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান এবং থোয়া করপোরেশনের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী চার বছরে নির্মিত হবে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি এবং ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি। বন্দরের এই টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
হলি আর্টিজানে নিহত জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণ
জাপানি তিন শিশু: বাবা-মা কে কাকে পেলেন
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০৩০ সালের শুরু থেকেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে। এ বন্দর চালু হলে এটি শুধু দেশের নয়, পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে”।
জাইকার অর্থায়নে ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এর নির্মাণকাজ।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন এটিএম বুথে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা গতকাল রাতেই শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
মামলার আসামি বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া। তিনি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, পোশাক কারখানায় চাকরি করে ভুক্তভোগী কিশোরী। সে এটিএম বুথ থেকে মাস শেষে বেতন তোলে। এর একপর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১২ হাজার টাকা বেতন নতুন চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বুথের ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন নিরাপত্তাকর্মী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠানোর সূত্র ধরে ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটনের। সেই সূত্রে অন্য কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখান লিটন। রোববার সকালে তিনি কিশোরীর বাবাকে ফোন করেন এবং তার মেয়েকে সকাল ৬টায় বুথে আসতে বলেন। বুথে যাওয়ার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে কিশোরীকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ওই কক্ষে তাকে ধর্ষণ করেন লিটন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্ত লিটন মিয়া পালিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।