তারকা সন্তানরা বলিউড সিনেমায় বাড়তি সুবিধা পায়: নুসরাত
Published: 23rd, April 2025 GMT
বলিউড তাদের জন্যই চলার পথটা মসৃণ করে রেখেছে, যাদের শরীরে বইছে তারকাদের রক্ত– এ দাবি অনেকের। স্বজনপোষণের কারণেই হিন্দি সিনেমা দিন দিন দর্শক হারাচ্ছে বলেও অনেকের মত। সিনেমা সমালোচক আর নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা নিজেও।
একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তারকা সন্তান না হওয়ার আক্ষেপ তুলে ধরছেন এই বলিউড তারকা। বলেছেন, ‘সোনাক্ষী বা শ্রদ্ধার মতো অভিনেত্রীরা এমন পরিচালক বা প্রযোজকের দরজায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে আমি পারি না। তারা এমন পরিচালকদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, যাদের আমি চিনিও না।’ তাঁর এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, তারকা সন্তানরা বলিউড সিনেমায় সবসময় বাড়তি সুবিধা পায়। কাজ খুঁজে নেওয়াটাও তাদের জন্য অনেক সহজ। তবে নুসরাত তাঁর বক্তব্যে সোনাক্ষী সিনহা ও শ্রদ্ধা কাপুরের নাম উদাহরণ হিসেবে তুলে আনলেও এই দুই অভিনেত্রীকে কোনো খাটো করার চেষ্টা করেননি। তিনি এও বলেছেন, ‘‘আমি ওদের ‘তারকা সন্তান’ বলে কটাক্ষ করতে চাই না। কারণ তাদেরও নিজস্ব লড়াই রয়েছে। তবে তারা এমন সুযোগ পায়, যা আমরা পাই না। এ কারণেই তারকা সন্তান হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে।’
নুসরাতের মতে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেত্রীদের জন্য পরিচালকের নম্বর পাওয়া বা তাদের সঙ্গে দেখা করা খুব কঠিন। যার উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমার কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন এই সিনেমা তাঁকে বলিউডে পরিচিতি এনে দিলেও প্রথম সিনেমা ছিল ‘কাল কিসনে দেখা’ সেভাবে আলোচনায় আসেনি। অথচ সোনাক্ষী সিনহা শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ‘দাবাং’ সিনেমার জন্য।
কারণ, তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুপারস্টার সালমান খান। আবার শ্রদ্ধা কাপুরের অভিষেক ‘তিন পাত্তি’ সিনেমার মাধ্যমে হয়েছিল, যেটি বক্স অফিসে সাফল্যের দেখা পায়নি। তারপরও শ্রদ্ধার কাজের অভাব হয়নি। যার সুবাদে পরবর্তী সময়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। কিন্তু আমার এমন সৌভাগ্য হয়নি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।