চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার মেলা উপলক্ষে এবার সংলগ্ন ফুটপাত বা সড়কে ভাসমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে মেলার মাঠ–সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপাত থেকে দোকান তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, এবার দোকানপাট বসবে শুধু মেলার মাঠে।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা। মেলা উপলক্ষে তিন-চার দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা নানান পণ্য নিয়ে এসেছেন। অনেকে সংলগ্ন ফুটপাত ও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন, দোকান খুলেছেন। তবে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশ গিয়ে তাঁদের দোকানপাট তুলে দেয়।

লালদীঘির সড়ক বিভাজকে চুড়ির দোকান খুলেছিলেন আল-আমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে চার দিন আগেই মালামাল নিয়ে এসেছেন। রাস্তা বন্ধ করে বসেননি জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বসতে না দেওয়ার কথা আগে জানালে তিনি আসতেন না।

পাশের কে সি দে সড়কে হাঁড়িপাতিল আর গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে বসেছিলেন খায়রুল। তিনিও ঢাকা থেকে এক ট্রাক মালামাল নিয়ে মেলায় এসেছেন। খায়রুল বলেন, রাতে পুলিশ এসে তাঁদের চলে যেতে বলেছে। ওই সময় হুড়োহুড়িতে কিছু মালামাল নষ্ট হয়েছে। এত মালামাল নিয়ে এখন কীভাবে ফিরবেন, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে তাঁর।

পুলিশের ভাষ্য, মেলার মাঠে দোকান বসাতে কোনো বাধা নেই। আশপাশের সড়ক ও ফুটপাতে দোকান বসানো যাবে না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাস্তায় দোকান না বসানোর জন্য আগে থেকেই মেলা কমিটিকে বলা হয়েছে, মাইকিংও করা হয়েছে। ফুটপাতে দোকান বসালে, লোকজন রাস্তায় এসে দাঁড়াবে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ফুটপাত থেকেও দোকান তুলে দেওয়া হচ্ছে।’

মেলা কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঐতিহ্য মেনে জব্বারের বলীখেলার মেলা প্রতিবছর হয়ে আসছে। এবার রাস্তায় দোকান না বসানোর জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের বলে দিয়েছি।’

প্রতিবছর ১২ বৈশাখ ঐতিহ্যবাহী এই বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বকশিরহাটের আবদুল জব্বার সওদাগর ১৯০৯ সালে এই বলীখেলার প্রবর্তন করেছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তরুণ ও যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে কুস্তি বা বলীখেলা শুরু করেছিলেন লালদীঘি মাঠে। সেই থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কালের বিবর্তনে এই বলীখেলা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবার জব্বারের বলীখেলা ১১৬ বছরে পা রাখতে চলেছে। আগামীকাল শুক্রবার লালদীঘি মাঠে এবারের বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে লালদীঘির মাঠ ঘিরে তিন দিনের বৈশাখী মেলা বসেছে।

২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে দুই বছর এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দুই বছর বলীখেলা হয়নি। এ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে এই বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা ২৫ এপ্রিল১৬ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ত বল খ ল র ফ টপ ত

এছাড়াও পড়ুন:

সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব 

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন

নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”

তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”

প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের। 

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 
  • মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
  • বাংলাদেশের শত্রুতারা আবার মাথা মাথাচারা দিয়ে উঠতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
  • বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাইজিংবিডির রুমন চক্রবর্তী
  • ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
  • ইসমাইল হোসেন (মুরুব্বী) এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া 
  • যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে বর্ণাঢ্য র‌্যালি
  • সরকারে এলে ৫০ লাখ নারীকে ফ্যামিলি কার্ড দিবে বিএনপি : সজল
  • সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব