ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়,  বিভিন্ন অপকর্ম এবং চারিত্রিক স্খলনের কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়ার নির্দেশে তাঁকে প্রাথমিক সদস্য ও সব পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জানতে চাইলে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত ওই নেতাকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা বিব্রত হন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জেলা বিএনপির নজরে আনা হলে তাঁরা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স আলমগ র ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

এমপিওভুক্তির ৯১ ফাইল আটকে রেখেছেন ডিডি, দুদকের অভিযান

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে আবারও ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এবার এমপিওভুক্তির ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এই অভিযান চালান। দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ডিডি আলমগীর কবির ঘুষ ছাড়া ফাইল অনুমোদন করেন না— এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

গত ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে ডিডি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। এবার তার বিরুদ্ধে আরও ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা মিলল।

আরো পড়ুন:

দেশজুড়ে এলজিইডি অফিসে দুদকের হানা, মিলেছে অনিয়মের তথ্য

রাজশাহী এলজিইডিতে দুদক: এক ঠিকাদারের কাজে অন্যজন

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য সম্প্রতি ১৫২টি আবেদন জমা পড়ে। এগুলো প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের দপ্তরে জমা হয়। ত্রুটিপূর্ণ ৪৭টি আবেদন বাতিল করে তিনি বাকি ১০৫টি ফাইল সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে আলমাস উদ্দিন ফাইলগুলো ডিডি আলমগীর কবিরের কাছে পাঠান। কিন্তু তিনি ৯২টি ফাইল আর পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এ সব ফাইল ঢাকায় পাঠানোর জন্য এখন আর মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ফাইল আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেন ডিডি আলমগীর কবির। অভিযান চালানোর সময় তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দুদকের কর্মকর্তারা পরিচালকের কাছ থেকেই প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করেন। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিডি আলমগীর কবির নানা অজুহাতে তা করেননি। এর আগেও যখন তিনি ১৫১টি ফাইল আটকে রেখেছিলেন, তখন বহুবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তার বিষয়ে অনেক কথাই কানে আসে।’’

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘‘ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এবার ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’’ 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকেয়া রিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫০
  • চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, মেয়রকে পরিচালকের চিঠি
  • এমপিওভুক্তির ৯১ ফাইল আটকে রেখেছেন ডিডি, দুদকের অভিযান
  • স্বেচ্ছাশ্রমে চট্টগ্রামে খাল খনন করছে বিএনপি
  • শেখ হাসিনা ফিরে এলে সাধারণ মানুষই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে: মির্জা ফখরুল
  • শেখ হাসিনা ফিরে আসলে সাধারণ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: মির্জা ফখরুল
  • রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
  • গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ 
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক