ডিপিএলে টিকে গেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন, পড়ে গেল পারটেক্স
Published: 24th, April 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব পরিষ্কার সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল। জিতলে পরের মৌসুমে ডিপিএলে খেলার সুযোগ হারলে নিচের ধাপে অবনমন। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির নামও ছিল ‘রেলিগেশন ম্যাচ’। ওই লড়াইয়ে ১১৩ রানে জিতে প্রিমিয়ারে টিকে থাকল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অবনমন হলো পারটেক্সের।
গতকালের ম্যাচে ব্রাদার্স ৯ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে। দলটির দুই ওপেনার ২৪.
তার ওই ইনিংসে ভর করে বড় রান তোলে ব্রাদার্স। মিডল অর্ডারে ভূমিকা রাখেন মিজানুর রহমান ও আইস মোল্লা। এর মধ্যে মিজানুর ৪৪ বলে ৪২ ও আইস ৪৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে পারটেক্স ৩৭.১ ওভারে ১৮১ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার আদিল ৭৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। মিডলে আহরার আমিন ৩৩ রান যোগ করেন।
ব্রাদার্সের হয়ে রাকিবুল আতিক ও অভিজ্ঞ অলক কাপালি বল হাতে দারুণ করেছেন। রাকিবুল ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। অলক ৮ ওভারে ৪৭ রান খরচা করে নেন ৩ উইকেট। সালাউদ্দিন শাকিল নেন ২ উইকেট। পারটেক্সের আলাউদ্দিন বাবু, শহিদুল ইসলাম ও ইয়াসিন মুনতাসির দুটি করে উইকেট নেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।