Samakal:
2025-08-01@20:10:07 GMT

ত্বকের যত্নে ফেসিয়াল

Published: 26th, April 2025 GMT

ত্বকের যত্নে ফেসিয়াল

সুন্দর ত্বক কে না চায়? এ জন্য় প্রয়োজন যত্নের। অনেকের প্রশ্ন, ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়াল আদৌ জরুরি কিনা?

রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক ভালো রাখতে কয়েকদিন পরপর ত্বক ভাল ভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। এর পাশাপাশি ত্বকের পুষ্টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসিয়াল এই দুটি চাহিদাই খুব ভালভাবে পূরণ করে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন। সাধারণত নারীরা মাসে একবার বা দুই মাসে একবার ফেসিয়াল করান। তবে মাসে দুইবার অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিনে একবার ফেসিয়াল করা হয় তাহলে তা ত্বকের জন্য় উপকারী হবে।

১৫ দিনে ফেসিয়াল করাবেন কেন?
এতে ত্বক পরিষ্কার থাকে। এটি ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি মরা চামড়া দূর করে। এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস থেকে হোয়াইটহেডস দূর করে। ত্বকের ক্ষতি করে এমন এই জিনিসগুলো মাসে দুইবার অপসারণ করলে ত্বক আরও সুস্থ থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও

রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে মাসে দু’বার ফেসিয়াল করালেই ত্বক হাইড্রেশন পাবে। তাদের ভাষায়, ত্বক শুষ্ক হলে ত্বকের ছিদ্র দ্রুত আটকে যায় বা হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেডস দেখা দেয়। এ কারণে ১৫ দিন পর একবার ফেসিয়ালের মাধ্য়মে ত্বক পরিষ্কার করলে এ ধরনের সমস্যা মিটবে। তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ফেসিয়াল করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ফেসিয়াল যেভাবে ত্বকের যত্নে কাজ করে

ফেসিয়ালেএমন এক ধরনের স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট যা এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে মরা চামড়া দূর করে। ত্বককে আর্দ্র রাখে। শুধু তাই নয় ফেসিয়ালের ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

ঘরোয়া উপায়ে ফেসিয়াল 

ঘন ঘন পার্লারে যেতে না পারলে বাড়িতে বসেই ফেসিয়াল করতে পারেন। যেভাবে ফেসিয়াল করবেন-

১.

একটি মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করুন। 

২. ঘরে তৈরি বা বাজার থেকে কেনা স্ক্রাব দিয়ে কমপক্ষে ৫ মিনিটের জন্য স্ক্রাব করুন। 

৩. মুখে ভাপ নিন

৪.৫- ১০ মিনিটের জন্য ময়েশ্চারাইজার দিয়ে আপনার মুখ ম্যাসাজ করুন। 

৫. মুখ পরিষ্কার করার পর ঘরে তৈরি বা বাজার থেকে আনা ফেসপ্যাক লাগান।  ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। 

৬. হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং তারপর ক্রিম লাগান। 

৭. এরপর চাইলে বাদাম তেল বা ত্বকের উপযোগী কোনো এসেনশিয়াল অয়েলও লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ স য় ল কর ত বক র র ত বক একব র

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কারের অঙ্গীকারের এক বছর পরেও কারাগারে সাংবাদিকেরা: সিপিজে

সাংবাদিক ফারজানা রুপা চলতি বছরের ৫ মার্চ ঢাকার একটি জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবী ছাড়াই দাঁড়িয়েছিলেন। বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করছিলেন। ইতিমধ্যে অন্য মামলায় কারাগারে থাকা এই সাংবাদিক শান্তভাবে জামিনের আবেদন জানান। ফারজানা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি একজন সাংবাদিক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট।’

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলা রয়েছে। আর তাঁর স্বামী চ্যানেলটির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদের নামে রয়েছে আটটি হত্যা মামলা।

এক বছর আগে ছাত্রদের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দুজন সাংবাদিক নিহত হন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের অধীন সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বরে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার তখন থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করে দিয়েছে। মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কিন্তু প্রায় এক বছর পর এখনো সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবু কারাগারে আছেন। হত্যায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পৃথক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিগত সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের বারবার ব্যবহারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেন্সরশিপ বলেই মনে হচ্ছে।

এ ধরনের আইনি অভিযোগ ছাড়াও সিপিজে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, রাজনৈতিক কর্মীদের কাছ থেকে হুমকি এবং নির্বাসনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত করছে। এই অভিযোগ সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সিপিজের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লিহ ই বলেন, ‘চারজন সাংবাদিককে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত সংস্কার মানে অতীত থেকে বেরিয়ে আসা, এর অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি নয়। যেহেতু আগামী মাসগুলোতে দেশে নির্বাচন হতে চলেছে, তাই সব রাজনৈতিক দলকে সাংবাদিকদের খবর প্রকাশের অধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’

আইনি নথি ও প্রতিবেদন নিয়ে সিপিজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার অনেক পর সাংবাদিকদের নাম প্রায়ই এতে যুক্ত করা হয়। মে মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গত বছরের বিক্ষোভের পর ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শ্যামল দত্তের মেয়ে শশী সিপিজেকে বলেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এখন কতগুলো মামলা চলছে, পরিবার তার হিসাব রাখতে পারেনি। তাঁরা অন্তত ছয়টি হত্যা মামলার কথা জানেন, যেখানে শ্যামল দত্তের নাম আছে। মোজাম্মেল বাবুর পরিবার ১০টি মামলার কথা জানে। ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের পরিবার সিপিজেকে জানিয়েছে, তারা পাঁচটি মামলার এফআইআর পাননি, যেখানে একজন বা অন্য সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে হলো তাঁদের কেউই জামিনের আবেদন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও পুলিশের মুখপাত্র এনামুল হক সাগরকে ই–মেইল করে সিপিজে। তবে তাঁরা সাড়া দেননি বলে সিপিজের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ