কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলায় প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমান এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থা মাদ্রাজ টকিজকে দুই কোটি রুপি জামানত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মণি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান ২’ ছবির গান ‘বীরা রাজা বীরা’ নিয়ে মামলার সূত্রপাত। 

অভিযোগ, এ আর রহমানের সুর করা ওই গানটির সুর গ্রহণ করা হয়েছে অন্য একটি সৃষ্টি থেকে। এ মামলাটি দায়ের করেন ভারতীয় ধ্রুপদি কণ্ঠশিল্পী ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ফাইয়াজ ওয়াসিফউদ্দিন ডাগর। 

তাঁর অভিযোগ, ‘বীরা রাজা বীরা’ গানটির সুর নেওয়া হয়েছে তাঁর বাবা নাসির ফৈয়াজউদ্দিন ডাগর এবং কাকা জহিরউদ্দিন ডাগরের রচিত ‘শিবা স্তুতি’ থেকে। তিনি গানটির ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন জানান এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণ করেন, ‘শিবা স্তুতি’ কেবল ‘বীরা রাজা বীরা’কে অনুপ্রাণিত করেনি, বরং সামান্য কিছু পরিবর্তন সত্ত্বেও দুটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে। 

এ আর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘শিবা স্তুতি’ হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের ধ্রুপদ ধারার একটি ঐতিহ্যবাহী রচনা, যা জনসাধারণের সম্পদ। অন্যদিকে, ‘বীরা রাজা বীরা’ একটি সম্পূর্ণ মৌলিক সৃষ্টি, যেখানে ২২৭টি স্বতন্ত্র স্তর এবং পশ্চিমা সংগীতের উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ আর রহম ন এ আর রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের মধুসহ ২৪ পণ্য পেল জিআই সনদ

মণিপুরি শাড়ি, গামছা, লিচু, আম, মধুসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি পণ্যকে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এই সনদ দেওয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

সভায় শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মেধাসম্পদ দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী, অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক আরমিন মুসা। 

সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে জামদানি শাড়ি। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। জিআই পণ্য দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে। এই পণ্যের বাজারজাতকারীদের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারীদের ক্ষমতায়ন হবে।

এ সময় তিনি জিআই পণ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করার পর সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিকশিত করার আহ্বান জানান। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব গান। এ দেশের মানুষ গানের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করে, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সংগীত নিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বড় প্রকল্পের কাজ করছে। দেশের মানুষ কিছু দিনের মধ্যে তা দেখতে পাবে। সংগীতের কপিরাইট নিশ্চিত করতে হবে। 

নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হলো– নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মণিপুরি শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, কুমিল্লার খাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না, সুন্দরবনের মধু, শেরপুরের ছানার পায়েস, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, গাজীপুরের কাঁঠাল, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান, অষ্টগ্রামের পনির, বরিশালের আমড়া, কুমারখালীর বেডশিট, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, নওগাঁর নাকফজলি আম, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ এবং ঢাকাই ফুটিকার্পাস তুলার বীজ ও গাছ। 

সভায় এসব জিআই সনদ বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নাকফজলি আমচাষি সমবায় সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ