আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে এমডব্লিউ বাংলাদেশ ম্যাগাজিন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ন্যাচারাল ওয়েলনেস ব্র্যান্ড মায়া-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বেঙ্গল ইন মোশন-এর দ্বিতীয় আয়োজন। এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন ও শিল্পের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়।

বেঙ্গল ইন মোশন-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি স্বীকৃতি অর্জনের পথে এগিয়ে যাবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শক এবং স্পনসরদের সামনে শিল্পীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

বেঙ্গল ইন মোশন-এর এই বছরের থিম ছিল টাইমলেস টেগোর। নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাট্যকর্ম থেকে অনুপ্রাণিত নৃত্যনাট্য পরিবেশন করা হয় এবারের মঞ্চে। এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের সার্বজনীনতাকে দর্শকদের সামনে জীবন্ত করে তোলা এবং নৃত্যের ভাষায় তার অমর সৃষ্টিকে প্রকাশ করা।

অনুষ্ঠানে বরেণ্য ও নবীন শিল্পীদের পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় চারটি শাস্ত্রীয় নৃত্যরূপ—ভরতনাট্যম, কত্থক, মণিপুরী ও ওডিশি।

আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) আলোকি কনভেনশন সেন্টারে। শিল্পীদের পরিবেশনার কারিগরি নির্দেশনায় ছিলেন সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আনিসুল ইসলাম হিরু। মূল আয়োজনের সূচনা হয়েছিল আনিসুল ইসলাম হিরু ও মাহবুবা মাহনূর চাঁদনীর পরিবেশনার মাধ্যমে। অন্যান্য পরিবেশনায় অংশ নিয়েছিলেন বরেণ্য নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, সাবরিনা শফি নিশা, বেনজীর সালামের দল, সামিনা হোসেন প্রেমা, আনিকা কবির শখ, তামান্না রহমান ও তাদের দল।

অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী এবং এমডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক রুমানা চৌধুরী।

পুরো অনুষ্ঠানটিই দর্শকরা গভীরভাবে উপভোগ করেছেন এবং আনন্দের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন সৃষ্টিকে উদ্‌যাপন করেছেন।

এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়

শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।

সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।

জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।

আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা সভা-শোভাযাত্রা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
  • নৃত্য দিবসে ‘বেঙ্গল ইন মোশন’