২১ আগস্ট হামলা ৪৯ আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৪ মে
Published: 27th, April 2025 GMT
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৯ আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি ৪ মে ধার্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রোববার শুনানির এদিন ধার্য করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকেই খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে ১৯ ডিসেম্বর ৭৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায়ে বলা হয়, নিহতদের আত্মার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক ও স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, যা এ পর্যন্ত এই মামলায় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত রয়েছে। রায়ে সঠিক এবং দক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট। রায়ে এই আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও রায়ে বলা হয়েছিল। পরে আসামিদের খালাসের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
দুই দশক আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও দলটির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে তখন দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই দুটি মামলায় রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত।
রায়ে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃতুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইেকার্টে পৃথক আপিল করে দণ্ডিতরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন সংক্রান্ত ডেথ রেফারেন্স আবেদন দায়ের করা হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের হাইকোর্টে নতুন করে এই দুই মামলার শুনানি শুরু হয়। আপিলের শুনানি শেষে এরই ধারাবাহিকতায় ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
আসন্ন কোরবানির ঈদে রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রিটকারীর আইনজীবীর জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুট হাট বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সরকার। রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল হাইকোর্ট মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
আরেক আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ বলেছেন, বনশ্রী আবাসিক এলাকা। বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসলে এ হাট পুরো আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ কারণে এলাকাবাসীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছিল।
ঢাকা/এম/রফিক