‘শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার’
Published: 27th, April 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারগুলো হত্যা-ধর্ষণ-হামলার শিকার হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে লামিয়ার ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।
আরো পড়ুন:
ঢাবি প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চান উপাচার্য
মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ঢাবি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, সহকারী সদস্য সচিব ফারজায়ান আহসান কৃতিত্ব, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়া শাখার সদস্য সচিব মো.
বক্তারা বলেন, জুলাই গণহত্যার শহীদদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে। অথচ সেই সরকারের সময় শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তার মেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত ছিল শহীদ কন্যা লামিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ধর্ষকদের বিচারের নিশ্চয়তার কথা জানানো। কিন্তু সরকার তাকে এমনভাবে অবহেলা ও উপেক্ষা করেছে যে বাবা হারানো মেয়েটি আত্মহত্যা করে বসেছে।
তারা আরো বলেন, শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করে সরকার ও জনগণকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গেছেন। লামিয়ার পরিবার ও স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার পাশাপাশি চরিত্র হননের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন। সরকার যদি লামিয়ার পাশে দাঁড়াত এবং তাকে বিচারের আশ্বাস দিত তাহলে তার এত করুণ পরিণতি হতো না।
বক্তাদের দাবি, জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারগুলো একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। শনিবারও (২৬ এপ্রিল) দুজন জুলাই শহীদের কবরে হামলা হয়েছে। এতে শহীদ পরিবারগুলো ক্রমেই হতাশাগ্রস্থ ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ছে। লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চলবে না।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।