জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারগুলো হত্যা-ধর্ষণ-হামলার শিকার হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে লামিয়ার ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।

আরো পড়ুন:

ঢাবি প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চান উপাচার্য

মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ঢাবি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, সহকারী সদস্য সচিব ফারজায়ান আহসান কৃতিত্ব, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়া শাখার সদস্য সচিব মো.

জিনাত হোসেন, সহকারী সদস্য সচিব মো. শরীফুদ্দীন, মো. জোবায়ের প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জুলাই গণহত্যার শহীদদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে। অথচ সেই সরকারের সময় শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তার মেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত ছিল শহীদ কন্যা লামিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ধর্ষকদের বিচারের নিশ্চয়তার কথা জানানো। কিন্তু সরকার তাকে এমনভাবে অবহেলা ও উপেক্ষা করেছে যে বাবা হারানো মেয়েটি আত্মহত্যা করে বসেছে।

তারা আরো বলেন, শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করে সরকার ও জনগণকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গেছেন। লামিয়ার পরিবার ও স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার পাশাপাশি চরিত্র হননের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন। সরকার যদি লামিয়ার পাশে দাঁড়াত এবং তাকে বিচারের আশ্বাস দিত তাহলে তার এত করুণ পরিণতি হতো না।

বক্তাদের দাবি, জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারগুলো একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। শনিবারও (২৬ এপ্রিল) দুজন জুলাই শহীদের কবরে হামলা হয়েছে। এতে শহীদ পরিবারগুলো ক্রমেই হতাশাগ্রস্থ ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ছে। লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চলবে না।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ