শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ফিরেছে টাইগার যুবারা। ব্যাট হাতে ওপেনার জাওয়াদ আরবার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। ফিফটি করেছেন যুবা দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। বল হাতে আল ফাহাদ লঙ্কান যুবাদের ধসিয়ে দেয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। 

সোমবার কলম্বোর ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে ৬ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কার যুবারা। ওপেনিং জুটিতে ৪.

৪ ওভার ৩০ রান যোগ করে ভালো শুরুর আভাস দেয় তারা। পরেই ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। সেখান থেকে পাঁচে নামা চামিকা হেনাতিগালার ৫১ ও ছয়ে নামা দিনুমা ডামসিটের ৪৭ রানে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২১১ রানে অলআউট হয় লঙ্কান যুবা দলটি। 

জবাবে বাংলাদেশ ৩৪.৩ ওভারে জয় তুলে নেয়। ওপেনিং জুটিতে জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকি ৩৫ রান যোগ করেন। এর মধ্যে কালাম ৫ রান করে আউট হয়ে যান। বাকি পথটা জাওয়াদ ও আজিজুল নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন। ডানহাতি ব্যাটার জাওয়াদ ১০৬ বলে ১৩০ রানের হার না মানা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১৪টি চার ও ছয়টি ছক্কা তোলেন তিনি। আজিজুল ৮৯ বলে ৬৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে চারটি চার ও তিনটি ছক্কা আসে। 

ডানহাতি পেসার আল ফাহাদ ৯.৫ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন। ইকবাল হোসেন ইমন নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সামিউন ও আজিজুর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজ জ ল হ ক ম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ