Samakal:
2025-05-01@05:45:29 GMT

জ্ঞানার্জনে বইয়ের বিকল্প নেই

Published: 28th, April 2025 GMT

জ্ঞানার্জনে বইয়ের বিকল্প নেই

‘বই হলো এমন এক আয়না, যেখানে তুমি নিজের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করো’– জর্জ ক্রিস্টোফ লিচটেনবার্গের এমন উক্তি দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব বই দিবসে তিতুমীর কলেজ সুহৃদ সমাবেশ আয়োজিত ‘বই পড়ার আসর’। ২৩ এপ্রিল ছিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে ‘বিশ্ব বই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ‘পড়ুন এবং বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করুন’ প্রতিপাদ্যে বই ঘিরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে দিবসটি উদযাপিত হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। এরই ধারাবাহিকতায় তিতুমীর কলেজের সুহৃদরা ‘মুক্ত পরিবেশে বই পড়া ও বই বিনিময় কর্মসূচি’র মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।
আয়োজনে কলেজের মুক্তমঞ্চে দিনভর বইপ্রেমীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বই পড়া, প্রিয় বই বিনিময় আর প্রাণবন্ত আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে আসর। 
কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক আশিকা নিগার, সদস্য সচিব মুহিতুল ইসলাম মুন্নাসহ অন্য সদস্যরা। 
কর্মসূচির এক পর্যায়ে উপদেষ্টা অধ্যাপক কামরুন নাহার মায়া সুহৃদদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং এই কর্মসূচিকে সমসাময়িক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জ্ঞান অর্জনের নির্ভরযোগ্য পথ বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে একাডেমিক কারিকুলামের বাইয়েও নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন করা দরকার।’
আসরে সুহৃদরা বলেন, ‘বই পড়ার মাধ্যমে নিজের ভেতর সম্পূর্ণ নতুন এক পৃথিবী তৈরি করা যায়। টিকে থাকার জন্য যেমন খাবার দরকার, তেমনি বেঁচে থাকার জন্য দরকার কিছু স্বপ্ন, কিছু চিন্তা আর কিছু প্রশ্ন। এসবের উত্তর মেলে বইয়ের মাধ্যমে। স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই বইয়ের গন্ধ নিতে ফুরসত পান না। এমন বাস্তবতায় বই দিবস আমাদের নতুন করে মনে করিয়ে দেয় জীবনের সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে। সেই জ্ঞান আছে বইয়ের মধ্যে নিখুঁতভাবে লুকানো।’
কর্মসূচির এক পর্বে বই পড়ার তাৎপর্য, মানবিক মূল্যবোধ গঠন এবং মানসিক পরিশুদ্ধতায় বইয়ের অনন্য ভূমিকা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। এ পর্বে সুহৃদ নাহিদ বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে তরুণ প্রজন্মের পাঠাভ্যাস কমে আসছে। এ অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি পরবর্তী সময়ে বইপ্রেমীরা আমাদের এমন আয়োজনে সাড়া দেবেন। নিজেদের প্রিয় বই, লেখক আর পাঠ প্রতিক্রিয়া ভাগাভাগির পাশাপাশি গান ও আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন। v
কোষাধ্যক্ষ
সুহৃদ সমাবেশ, সরকারি তিতুমীর কলেজ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ