আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের সামনের আঙিনায় ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংহতি সমাবেশ আয়োজিত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ গৃহশ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সংহতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গৃহ শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক ময়না আক্তার। 

এসময় বাংলাদেশ গৃহ শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা সাখারভ হোসেন সেবকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। 

আরোও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি)’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র(টিউসি)’র কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আসলাম খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র(টিউসি), ঢাকা মহানগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মেহেদী হাসান নোবেল, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ প্রমুখ।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ বলেন, ‘ব্যবস্থা বদল ছাড়া শ্রমিক-মেহনতী মানুষের মুক্তির কোনোও পথ নেই। ইতিহাস বলে, সকল সংকটে সামনে থেকে লড়াই করেছে এদেশের সংগ্রামী শ্রমিকজনতা। তবুও বারবার শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তন হলেও তাদের চরিত্রে কোনোও পরিবর্তন হয়নি। নতুন মোড়কে সেই পুরনো শোষণ সমাজে জিইয়ে রাখা হয়েছে। তাই শোষণের কল এই সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে শ্রমিক-বান্ধব সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র নেতা বাহাউদ্দীন শুভ বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতার মসনদে বসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পতিত স্বৈরাচারের পথেই হাঁটছে। আগস্টের পরেও রাষ্ট্রীয় পুলিশের হাতে শ্রমিক খুন হয়েছে। শ্রম ভবনের সামনে আমরা বামপন্থী ছাত্ররা যখন শ্রমিকদের ন্যয়সঙ্গগ লড়াইয়ে সংহতি জানাতে গিয়েছি পুলিশ তখন আমাদের সহযোদ্ধাদের উপরেও চড়াও হয়েছে। আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে আরেকটা অভ্যুত্থান আপনাদের মোকাবিলা করতে হবে। আমরা লড়াইয়ের ময়দানে পিছু হটতে শিখিনি।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সুমাইয়া (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমাইয়া তার বন্ধু মো. সজিব প্রামাণিকের মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন। মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে চলার সময় হঠাৎ পেছনের চাকায় সুমাইয়ার ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে সোমবার রাতেই  আহলাদিপুর হাইওয়ে থানায় সজিব প্রামাণিকের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ফরিদপুর থেকে সজিবকে মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেছেন, সুমাইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রবিউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ