রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) নির্বাচন বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও পদপ্রার্থীদের কঠোর আন্দোলনের‌ মুখে নির্বাচন প্রসঙ্গে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।

উপাচার্য বলেছেন, শুক্রবার একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। সেই অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করবেন।

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, আজকে আপনারা চলে যাবেন। কিন্তু, যেকোনো সময় এখানে বসার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। প্রশাসন অনেক নিয়ম দেখায়। তারা যদি এতই নিয়ম মানে, তাহলে কেন নির্বাচন স্থগিত করলেন? আজকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যদি প্রশাসন রক্ষা করতে না পারে, তাহলে আমরা আবার উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান করব।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রুয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও এক জন কমিশনার পদত্যাগ করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে রুয়ার পদপ্রার্থীরা নির্বাচন বন্ধ না করার দাবিতে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়কের কাছে স্মারকলিপি দেন। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থি পদপ্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেন।

কিছু সমস্যা দেখিয়ে ৯ মে রুয়ার পুনর্মিলনী এবং ১০ মে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল অ্যাডহক কমিটি।

ঢাকা/ফাহিম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ