মে দিবসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালের বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনে অভিবাসী ও ফেডারেল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। খবর সিএনএন, এএফপির

লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক সিটি, ডেনভার, শিকাগো, ওয়াশিংটনসহ দেশের সব বড় বড় শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ছোট শহরগুলোর রাস্তাতেও বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন। মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা অভিবাসী, শ্রমিক ও বিদেশি ছাত্রদের কথা বলার স্বাধীনতার অধিকারের দাবি জানান।  

বিক্ষোভ ‘৫০৫০১’ আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজন করা হয়। বামঘেঁষা কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের নামের ব্যাখ্যা হলো ৫০ অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এরা আগেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। 

এই সংগঠন ‘সংবিধান সমুন্নত রাখার এবং নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করার লড়াইকে সমর্থন করে। সংগঠনটি জানায়, মে দিবসের এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার কোটিপতি মুনাফাখোররা শ্রমিকদের মজুরি, সুযোগ-সুবিধা, মর্যাদা নিচে নামানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আন্দোলনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে- ‘এই মে দিবসে আমরা লড়াই করছি। আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে আমাদের পরিবারগুলোকে তাদের ভাগ্যের উপরে প্রাধান্য দেওয়া হবে-বেসরকারি লাভের উপরে পাবলিক স্কুল, হেজ ফান্ডের উপরে স্বাস্থ্যসেবা, মুক্ত বাজার রাজনীতির উপরে সমৃদ্ধি।’

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ৫৪ বছর বয়সী শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, অতি ধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করছে।’

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শিক্ষা ইউনিয়নে কর্মরত রিডল আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকেরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হতে পারে।’

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে বলেন, এই অভিবাসীরাই ‘তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে’।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত মে দিবসের র‍্যালিতে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ক ষ ভ সম ব শ র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানে আটকা ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার তারেমি

চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রভাবে জটিল হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক যাতায়াত। এরই মধ্যে বড় এক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের নতুন স্ট্রাইকার ও ইরানি ফুটবলার মেহদি তারেমি। তিনি তেহরানে আটকা পড়েছেন, ফ্লাইট জটিলতায় ইতালি পৌঁছাতে পারছেন না।

বার্তা সংস্থা এএফপি শনিবার (১৫ জুন) জানিয়েছে, ইরানে অবস্থানরত মেহেদি তারেমি বর্তমান উত্তেজনার কারণে দেশে আটকে পড়েছেন এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সূচনালগ্নে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারছেন না।

৩২ বছর বয়সি এই ইরানি ফরোয়ার্ড গত সপ্তাহে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে তেহরানে ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দেশের হয়ে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে একটি গোল করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ইউরোপে ফেরার কথা থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং বিমান চলাচলে সীমাবদ্ধতার কারণে তেহরান থেকে কোনো ফ্লাইট পাচ্ছেন না তারেমি।

আরো পড়ুন:

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে হোয়াইট হাউস কী ভাবছে?

ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?

এএফপি জানায়, তারেমির লস অ্যাঞ্জেলেসে ইন্টার মিলানের ক্লাব বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার অনুপস্থিতি এখন দলের জন্য বড় এক ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত কেবল রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রেই নয়, এর প্রভাব পড়ছে খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও বৈশ্বিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানেও। তারেমির মতো একজন আন্তর্জাতিক তারকা যেখানে আটকে পড়েন, সেখানে বিশ্ববাসীর ভ্রমণ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরো বেড়ে যায়।

এই মুহূর্তে ইন্টার মিলান বা ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও ক্লাবের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, তারা তারেমির পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার জন্য কাজ করছে।

এটি শুধু একজন ফুটবলারের আটকে পড়ার গল্প নয়; এটি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার একটি বাস্তব ও মানবিক সংকটের প্রতিফলন।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তেহরানে আটকা ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার তারেমি