আইপিএলে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে বৈভব সূর্যবংশীর। অভিষেকে ঝড়ো এক ইনিংস খেলেছে সে। তৃতীয় আইপিএল ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পায় ১৪ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তাও সেটা ৩৫ বলে। ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তিও গড়েছে। সেটাও সবচেয়ে কম বয়সে। 

বৈভব অবশ্য মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখে ফেলেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে শূন্য করে আউট হয়েছে। তাতে বৈভবের প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। বরং প্রশ্ন উঠছে- বৈভব কি ভারতের হয়ে এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন?? 

সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টি-২০ ফরম্যাটের এশিয়া কাপ কিংবা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির টি-২০ বিশ্বকাপ দলে কি তাকে রাখা যাবে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, উত্তর হলো- না। কারণ নূন্যতম ১৫ বছর বয়স না হলে আইসিসির নিয়মে কেউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। 

বৈভবের ১৫ বছর পূর্ণ হবে ঠিক টি-২০ বিশ্বকাপের পরে। সেজন্য আনুষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আরও প্রায় এক বছর তিনি খেলতে পারবেন না। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যদি আইসিসির কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চায় সেক্ষেত্রে অনুমতি মিলতেও পারে। 

উপায় আছে, আরও একটি। বৈভবের সার্টিফিকেট বয়স ১৪ বছর এক মাস হলেও তার মূল বয়স নাকি আরও প্রায় দেড় বছর বেশি। অর্থাৎ তার প্রকৃত বয়স সাড়ে ১৫ বছর। জন্ম নিবন্ধন এফিডেভিট করে তার বয়স ঠিক করে নিলে খেলতে অসুবিধা হবে না।

ভারতের অবশ্য খেলোয়াড়ের অভাব নেই। বৈভককে তাই এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলানোর কথা বিসিসিআই ভাবছে বলে মনে হয় না। বরং তাকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে। রঞ্জি ট্রফি, দুলিপ ট্রফিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে। সেজন্য আনা হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।      

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স স আই আইস স প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাখাইন করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্তে এখনই ফুলস্টপ দেন: নুর

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ওইখানেই ফুলস্টপ দেন, আর এক পা-ও আগাবেন না।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর ঝুঁকি তৈরি হয়, এমন কোনও সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারসহ কাউকেই নিতে দেওয়া হবে না। সরকারের প্রতি সমর্থন-ভালোবাসা থাকলেও সরকার যা ইচ্ছে তাই করবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।’

শ্রমিক সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ শওকত হোসেন ফরহাদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ি, তবে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে, আর ফিরে এলে কাউকে রেহাই দেবে না। সবাইকে কচুকাটা করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পেশাদার পুলিশ চাইলে এখনই সংস্কার জরুরি
  • রাখাইন করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্তে এখনই ফুলস্টপ দেন: নুর
  • রাজনীতিকেরা পেশাদার পুলিশ চাননি, এখনই সংস্কার জরুরি
  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার এখনই প্রয়োজন