জাতীয় কবির স্মৃতিধন্য ত্রিশালে ধারণকৃত ‘ইত্যাদি’র প্রচার আজ
Published: 2nd, May 2025 GMT
আজ শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে আমাদের চির গৌরবের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছাত্র জীবনের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের দরিরামপুরে ধারণ করা ইত্যাদি’র একটি সংকলিত পর্ব। আমাদের জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে এবং তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ’‘অগ্নিবীনা’র শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের এই ¯ স্থানকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রচারিত ইত্যাদির ধারণকৃত স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল। জাতীয় কবির বিভিন্ন অমর কবিতা ও তাঁর প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো দৃষ্টি নন্দন মঞ্চের সামনে কয়েক হাজার দর্শক নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে একটি জনপ্রিয় নজরুল সংগীত গেয়েছেন এ সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও প্রিয়াংকা গোপ। রয়েছে জাতীয় কবির তিনটি গান ও দু’টি কবিতার সমন্বয়ে সৃষ্ট একটি সংগীতের সঙ্গে ¯’স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। দু’টি গানেরই সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল। এছাড়াও এবারের সংকলিত এই পর্বে ইত্যাদির সাভার ইপিজেড পর্ব থেকে জনপ্রিয় শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সুবীর নন্দীর একটি গান সংকলন করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীত পরিচালনা করেছেন আলী আকবর রুপু।
বরাবরের মতো এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে নজরুলের ত্রিশাল অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। রয়েছে চাল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের চালবাজীর চালচিত্র, পিএইচডি ডিগ্রীধারী একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি অধ্যাপক ড.
দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণকৃত স্থান ত্রিশাল এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্ব সাজানো হয়েছে কিছু নজরুল সংগীত ও লোক সংগীত নিয়ে। এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপিস্থত ছিলেন বিরল বাদ্যযন্ত্র সংগ্রাহক ময়মনসিংহের সন্তান জনাব রেজাউল করিম আসলাম।
নানান সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু বিদ্রুপাত্মক নাট্যাংশসহ এবারও যথারীতি রয়েছে মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। প্রচার হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য গ জ ন অন ষ ঠ ন কর ছ ন নজর ল র একট
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুই ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খাঁপাড়া এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকদের এ কর্মসূচির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, কারখানাটির দেড় হাজার শ্রমিক সকালে কাজে যোগ দিয়ে মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। তবে কর্তৃপক্ষ পরিশোধের তারিখ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে না পারায় শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁরা স্লোগান দিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প বাসস্ট্যান্ড নামের এলাকায় অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিল্প ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে শ্রমিকেরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিক্ষোভরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, ঈদের আগে তাঁদের অর্ধেক বেতন-বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, ঈদের পরই বাকি টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনো কিছু পাননি তাঁরা। এ জন্য ঘরভাড়া ও দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় আজ বেলা ১১টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।