শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগী ‘শুটার’ মাহফুজুর রহমান ওরফে বিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩-এর একটি দল।

মাহফুজুরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মুত্তাজুল ইসলাম।

র‍্যাব কর্মকর্তা মুত্তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সুব্রত বাইনের সহযোগী শুটার মাহফুজুর রহমানকে আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনশীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ বিদেশে, কেউ পলাতক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ঢাকার অপরাধজগৎ১৩ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন সম্ভব

পারিবারিক জীবন থেকে সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব বলে 'কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা সোসাইটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। 

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।

সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম। তিনি বলেন, কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা। 

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কোরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কোরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কোরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কীভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কোরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কোরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কোরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কোরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কোরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ