স্নাতকোত্তরে ৪-এ ৪ পাওয়া ইমা যেভাবে পরিসংখ্যানবিদ থেকে গবেষক হলেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
ভোলার দৌলতখানের প্রত্যন্ত দ্বীপগ্রামটিতে স্থল আর জল যেন একাকার হয়ে মিশে আছে। সেখানে যোগাযোগের সুযোগ সীমিত, শিক্ষার সুযোগ আরও সীমিত। সেই গ্রামেরই ইমা আক্তার। শৈশব থেকেই গণিতের প্রতি তাঁর দারুণ আগ্রহ। সমস্যা বিশ্লেষণ যুক্তি দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করাটা তাঁর পছন্দের কাজ। পড়াশোনায় ভীষণ মনোযোগী। এই মনোযোগের ফলও পান। পঞ্চম শ্রেণির পর অষ্টম শ্রেণিতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সরকারি বৃত্তি অর্জন করে নিজের মেধার প্রমাণ দেন ইমা।
এরপরই আসে প্রতিবন্ধকতা। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে যে শহরে পড়তে যাবেন, কার বাসায় উঠবেন? এমন কেউ তো তাঁর নেই। খরচের বিষয়ও আছে। সেই বাধাও কাটান ইমা। নিজের চেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও তাঁর পথচলা মসৃণ ছিল না। টাইফয়েডের কারণে দুবার মরতে মরতে ফিরে আসেন। মূল্যবান সময়ও হারান। শামসুন্নাহার হলের ছোট রুমে অসুস্থ শরীর নিয়ে বই আঁকড়ে পড়াশোনা করাটাই ছিল তাঁর লড়াইয়ের হাতিয়ার। ফলস্বরূপ স্নাতকে সিজিপিএ–৪-এ ৩.                
      
				
বছর ছয়েক আগে স্নাতকোত্তর শেষ করেই আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) আমার টিমে যোগ দিয়েছিলেন ইমা। শুরুর দিকে তাঁর ছিল পুরোদস্তুর পরিসংখ্যানবিদের কাজ। আমাদের দলের বিভিন্ন অ্যানালাইসিসে সহায়তা করা। ধীরে ধীরে তাঁকে আমরা গবেষণার অন্যান্য কাজেও যুক্ত করতে শুরু করি। নিজে নিজে পেপার লেখা, ছোটখাটো প্রকল্পে নেতৃত্ব দেওয়া চলতে থাকে। মাস কয়েক পর দেখা গেল, সারা জীবন অঙ্ক বোঝা মেয়েটা পলিসি বুঝতে শুরু করছে, নতুন আইডিয়াও হাজির করছে, পেপারও তৈরি করছে।
আমাদের এখানে কোনো চিকিৎসকও যখন যোগ দেন, তাঁর প্রথম কাজ হয় চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট। পরে তাঁদেরও কনটেন্ট বুঝতে হয়, অ্যানালাইসিস বুঝতে হয়, পলিসি বুঝতে হয়। এভাবেই তাঁরা হয়ে ওঠেন গবেষক। ইমাও এভাবে এক-দুই বছরের মধ্যে গবেষক হয়ে উঠলেন।
গবেষণার প্রতি তাঁর আগ্রহ ক্রমে গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করতে দেশের প্রত্যন্ত সব অঞ্চলে গেছেন। প্রতিকূলতার মুখোমুখি হলে সহকর্মীদের সহযোগিতায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিখেছেন। কঠিন মুহূর্তগুলো তাঁকে আরও দক্ষ ও পেশাদার করে তুলেছে।
আরও পড়ুনহতে চেয়েছিলেন স্থপতি, হয়ে গেলেন ডিজাইনার৮ ঘণ্টা আগেইমা আক্তারউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফজলুর রহমান মনোনয়ন পাওয়ায় আনন্দ মিছিল-মিষ্টি বিতরণ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
রাতে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলার নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। এসময় এমন খুশির খবরে আনন্দ মিছিলের পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।
এছাড়াও কিশোরগঞ্জের আরো তিনটি আসনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় আনন্দ মিছিল করেন স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে জেলা জজ কোর্টের পিপি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তারাইল) আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা (পদ স্থগিত) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) এই দুই আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
ঢাকা/রুমন/এস