খুলনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫
Published: 4th, May 2025 GMT
খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকার একটি দোকানে চুরির ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে নারীসহ আরো তিনজনকে। রবিবার (৪ মে) দুপুরে নগরীর বাগমারা সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
গুলিবিদ্ধ আজিজকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার (৩ মে) রাতে বাগমারা এলাকায় শিরিনা স্টোর নামে একটি মুদি দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দুই জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের কাছ থেকে চোরাই মালামাল জব্দ হয়।
আরো পড়ুন:
পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
এরই জেরে রবিবার দুপুরে রানা এবং মাহাবুবুর রহমান মাহু নামে দুইজনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকাবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি আব্দুল আজিজের বুকের ডানপাশে বিদ্ধ হয়। কুপিয়ে জখম করা হয় সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে। লাঠির আঘাতে আহত হন নিলুফা বেগম নামে এক নারী।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “চুরির ঘটনার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রথমে একদল সন্ত্রাসী এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। পরে এলাকার মানুষ নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত এল ক ব স স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মনিপুর স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম
মনিপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি স্কুলের এমপিওভুক্ত ও সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক। বর্তমান অ্যাডহক কমিটি রোববার তাঁকে এই পদে দায়িত্ব দেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোমবার তিনি নতুন পদে যোগ দিয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, মনিপুর স্কুল একসময় দেশসেরা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছি। আমি স্কুলটির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করব।
এর আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আখলাক আহমেদ। আখলাক আহমেদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষকদের মতে, চাকরির হারানোর আশঙ্কায় তিনি নিজে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া আখলাক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে।