খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকার একটি দোকানে চুরির ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে নারীসহ আরো তিনজনকে। রবিবার (৪ মে) দুপুরে নগরীর বাগমারা সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

গুলিবিদ্ধ আজিজকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার (৩ মে) রাতে বাগমারা এলাকায় শিরিনা স্টোর নামে একটি মুদি দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দুই জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের কাছ থেকে চোরাই মালামাল জব্দ হয়। 

আরো পড়ুন:

পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

এরই জেরে রবিবার দুপুরে রানা এবং মাহাবুবুর রহমান মাহু নামে দুইজনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকাবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি আব্দুল আজিজের বুকের ডানপাশে বিদ্ধ হয়। কুপিয়ে জখম করা হয় সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে। লাঠির আঘাতে আহত হন নিলুফা বেগম নামে এক নারী।

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “চুরির ঘটনার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রথমে একদল সন্ত্রাসী এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। পরে এলাকার মানুষ নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত এল ক ব স স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা