ইউনাইটেড পিপল গ্লোবালের (ইউপিজি) লিডারশিপ প্রোগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম আলী রাজু। ফলে ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন আইল্যান্ডে সপ্তাহব্যাপী লিডারশিপ ট্রেইনিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।
২০২৪ সালে এ প্রোগ্রামের জন্য সারাবিশ্ব থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে এক হাজার জনকে অনলাইনে ৯ সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্য থেকে ৫০০ জনকে সার্টিফাইড লিডার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সর্বোত্তম ৬০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন আইল্যান্ডে এক সপ্তাহব্যাপী বিশেষ লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে উন্মুক্ত ভোটের মাধ্যমে দু’জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ইব্রাহীম আলী রাজু নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি হারিকেন আইল্যান্ডে এ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ বিষয়ে ইব্রাহীম আলী রাজু বলেন, ‘এ জয় আমি উৎসর্গ করছি দেশের প্রতিটি মানুষকে, যারা একটি করে ভোট দিয়ে, দোয়া করে, শুভকামনা জানিয়ে আমার পাশে ছিলেন। v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিশ কাগজ আর মাস্টারমাইন্ড—অ্যাশেজ ঘিরে স্মিথ–পানেসারের পাল্টাপাল্টি
স্টিভেন স্মিথ এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক নন, প্যাট কামিন্স নেই বলে পার্থে তাঁকে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। আর সেই সূত্রে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছে স্মিথকে।
কী অদ্ভুত ব্যাপার, ‘ঠেকা’ কাজ সারতে এসে স্মিথ বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন এমন একজনের সঙ্গে, গত এক যুগ যিনি টেস্ট আঙিনায় নেই। তাঁদের তপ্ত বাগ্যুদ্ধে উঠে এল ‘সিরিশ কাগজ’, আর ‘মাস্টারমাইন্ডের’ মতো শব্দ, যা অতীতের ঘটনা না জানা থাকলে হেঁয়ালির মতো শোনাতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলের জন্যই অ্যাশেজ হলো মর্যাদার লড়াই, যা জেতার জন্য মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও খেলার অংশ হয়ে ওঠে দুই দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা একে অপরের দুর্বল জায়গাগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যান অবিরত।
তেমনই এক আক্রমণের অংশ হিসেবেই গত সপ্তাহে একটি বেটিং কোম্পানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথের ‘সিরিশ কাগজ কেলেঙ্কারি’ সামনে নিয়ে আসেন পানেসার। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন ব্যাকক্রফট বলে সিরিশ কাগজ ঘষে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় স্মিথের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, দেওয়া হয় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও।
সেই স্মিথ এবার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে চলেছেন জানার পর পানেসার ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলেন, তাঁরা যেন তাঁর (স্মিথের) নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ মিডিয়াকেও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ স্মিথ