মির্জাপুর উপজেলা সদরের কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকো জোয়ারের পানির স্রোত আর কচুরিপানার চাপে ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষের সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে তাদের হাসপাতালে আসতে হচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই ভোগান্তি চলছে।
কয়েকদিন ধরেই লৌহজং নদীতে জোয়ারের কারণে পানি বাড়ছে। কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে নদীতে প্রচুর কচুরিপানা জন্মেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি বাড়ার ফলে কচুরিপানার চাপে ওই ঘাটে থাকা সাঁকোটি ভেসে যায়। এবারই প্রথম নয়, প্রতিবছর এই সময়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হয় নদীর দুই পারের মানুষ। এর পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো দিয়ে পৌর এলাকার সাহাপাড়া, সরিষাদাইড়, আন্ধরা ছাড়াও মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের ভাওড়া, বহুরিয়া, উয়ার্শী ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ গ্রামের লোকজন নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং স্কুল ও কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই নদীর দক্ষিণ পারে থাকেন। তারাও এই সাঁকো ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাঁকো দিয়ে অনেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার ধামরাই, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পারাপারের জন্য কোনো নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়নি।
এদিকে নদীর ওই ঘাট জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে সেখানে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিবছর ওই স্থানে নদীর পানি বাড়লে সাঁকো ভেঙে দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আন্ধরা গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ কুমুদিনী খেয়াঘাট। এই দুঃখ দূর করতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মির্জাপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, সোমবার উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে জেলা প্রশাসকের আর্থিক অনুদান প্রদান
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার রাতে (৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দুই দলের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আগামী ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির প্রচার ও প্রসারে ক্রীড়ামুখী ও তারুণ্যবান্ধব এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্রীড়াঙ্গনে জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
দেশীয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়ার উন্নয়ন ও প্রতিভা বিকাশে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মো. জাকারিয়া ইমতিয়াজ রবিবার বলেন, খেলাধুলা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সবকিছুই এখন সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনেক অবদান আছে।
তিনি নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যেই বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুতই ফুটবল মাঠ সংস্কার হবে।