পিএসসি সংস্কারে সোমবারের মধ্যে রোডম্যাপ দাবি
Published: 8th, May 2025 GMT
পিএসসি সংস্কারের লক্ষ্যে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পিএসসি সংস্কার আন্দোলন। এ সময় আগামী সোমবারের (১২ মে) মধ্যে পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের দাবিগুলোর ভিত্তিতে রোডম্যাপ চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি লাইব্রেরির সামনে থেকে কলা ভবন হয়ে টিএসসি ঘুরে শাহবাগে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, পিএসসি সংস্কার’, ‘দালালি না সংস্কার, সংস্কার সংস্কার’, ‘তারুণ্যের অঙ্গিকার, পিএসসি সংস্কার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারসহ জবি শিক্ষার্থীদের ১০ দাবি
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
বিক্ষোভ সমাবেশ পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে পিএসসি সংস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু আজো আমরা সংস্কারের আলোর মুখ দেখতে পাইনি। আজ আমাদের পিএসসি সংস্কারের জন্য রাজপথ নেমে আসতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অনশনরত ও আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে, যেখানে আট দফা দাবিগুলো সমাধান করা হবে। এর জন্য বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। আশ্বাস দেওয়ার আটদিন পেরিয়ে গেলেও প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি বিগত সিন্ডিকেটের উৎখাতও সম্ভব করা যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রাক যাচাই প্রক্রিয়ার সমাধান চাই। প্রাক যাচাইয়ের মাধ্যমে হয়রানিমূলক প্রক্রিয়ার সমাধান চাই। আমাদের অতিদ্রুত ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রদান করতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসস পর ক ষ আম দ র প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক
পিএসসি সংস্কারে ঘোষিত আট দফা দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাতদিনের আল্টিমেটাম পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সংস্কার কমিশন গঠনের আশ্বাস দিয়ে তাদের অনশন ভাঙিয়েছিল পিএসসি। পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেওয়া সাতদিনের আল্টিমেটাম শেষ হলেও এখনো পিএসসি সংস্কার বিষয়ে কোনো আপডেট দেওয়া হয়নি।
আরো পড়ুন:
আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থী সিরাজুস সালেহীন শিয়ন বলেন, “আমরা আন্দোলন করছি পিএসসির দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে। ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়। যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এবং যারা প্রশ্ন কিনেছেন- উভয় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা অনশনে বসেছিলাম। অনশন ভাঙাতে সংস্কার কমিশনের কথা বলা হলেও এখনো কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা দেখিনি।”
পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, একটি সংস্কার কমিশন গঠন করে আমাদের আট দফা দাবি পূরণ করা হবে। অথচ আমরা সংস্কার কমিশনের কোনো অগ্রগতি পায়নি। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি করা হয়েছিল। সাতদিন পার হয়ে গেলেও এখনো একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি অনশন ভাঙার পর থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “৪৬তম বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার এবং পরবর্তীতে ৪৬তম বিসিএস নিয়ে যাতে প্রশ্ন উঠতে না পারে, সেটার সমাধান আমরা চাচ্ছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা করা হবে, তা সুস্পষ্টভাবে করতে হবে। কোনো প্রকার ছলচাতুরী চলবে না। প্রাক-ভ্যারিফিকেশন নামক প্রহসন বাতিল করে পিএসসিকে দলীয় প্রভাব মুক্ত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন ফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট এখনো বিরাজমান রয়েছে। এ সিন্ডিকেট ভাঙতেই পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের লড়াই চলমান। দল মত নির্বেশেষে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার নামে কোনোভাবে দলীয় বিবেচনা বা প্রভাব পিএসসিতে থাকুক, তা আমরা হতে দেব না।”
এ সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের আট দফা দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আটটি দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রত্যেকটা বিসিএস ১ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে; প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা এবং লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম ২ মাস আগে রুটিন ঘোষণা করতে হবে; ভেরিফিকেশনে হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা করতে হবে; চূড়ান্ত ফলাফলের আগে প্রাক-যাচাই প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে; ফৌজদারি মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতায় দণ্ডিত সুস্পষ্ট অভিযোগ ব্যতীত চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো প্রার্থীর গেজেট আটকানো যাবে না; কোন প্রার্থীর গেজেট আটকানো হলে তার সুস্পষ্ট কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং গেজেট আটকানোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকতে হবে; ‘নন ক্যাডার বিধি-২০২৩’ সংশোধন (প্রয়োজন সাপেক্ষে বাতিল) করে বিসিএস মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে।
এছাড়া ৪৬ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্বে- প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা, ভবিষ্যতে ৪৬তম বিসিএস বাতিলের কোনো সম্ভাবনা তৈরি হবে না এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান, আগামী জুন মাসের মধ্যে ৪৪তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল (ভাইভায় উত্তীর্ণ) প্রকাশ করে জুলাইয়ের শুরুতে ৪৬তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা, ৪৫তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ ও লিখিত ফলাফল জুনের মধ্যে প্রকাশ করে ২০২৫ সালের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়।
৪৫ তম বিসিএস থেকেই ভাইভার পূর্বে ক্যাডার পছন্দক্রম পুনরায় পছন্দের সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা, বিসিএস জট নিরসনে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে অস্থায়ীভাবে কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য সংখ্যার সীমা ২৫-৩০ জনে উন্নীতকরণ এবং লিখিত খাতার মূল্যায়নে গতি, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা আনয়নে কমিশনে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়।