রাজবাড়ীর সদর উপজেলার খানগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ ভোর পাঁচটার দিকে খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে আগুন দেখতে পান তাঁরা। পরে দ্রুত রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। রাজবাড়ী ও কালুখালী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালক কাজী আবু শাহিন বলেন, ভোর ৫টা ৮ মিনিটে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে আগুন লাগার খবর দেন। এরপর তিনি রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আগুনে একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ, প্রিন্টার, রাউটার, ফটোকপি মেশিন, ব্রডব্যান্ড ডিভাইস, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সনাজ মিয়া বলেন, ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

খানগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। তবে আগুনে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার রুম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারিয়া হক বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে মূল্যবান নথিপত্রসহ অনেক কিছুই পুড়ে গেছে। আগুনের সঠিক কারণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাজবাড়ীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলার ইউএনও মারিয়া হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ নগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।

সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জা​দুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।

মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ