রাজবাড়ীতে আগুনে পুড়ে গেছে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার
Published: 9th, May 2025 GMT
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার খানগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, আজ ভোর পাঁচটার দিকে খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে আগুন দেখতে পান তাঁরা। পরে দ্রুত রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। রাজবাড়ী ও কালুখালী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালক কাজী আবু শাহিন বলেন, ভোর ৫টা ৮ মিনিটে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে আগুন লাগার খবর দেন। এরপর তিনি রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আগুনে একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ, প্রিন্টার, রাউটার, ফটোকপি মেশিন, ব্রডব্যান্ড ডিভাইস, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সনাজ মিয়া বলেন, ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
খানগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। তবে আগুনে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার রুম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারিয়া হক বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে মূল্যবান নথিপত্রসহ অনেক কিছুই পুড়ে গেছে। আগুনের সঠিক কারণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাজবাড়ীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলার ইউএনও মারিয়া হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ নগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
এক্সিম ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারছি না
৪ জুন পাঁচ ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে হঠাৎ ডেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সভা করে। ব্যাংক পাঁচটি ছিল ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। সে সভায় ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। আগে ছয় ব্যাংক একীভূত করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ সেটা পাঁচ ব্যাংক হয়ে গেল। সভায় তিন ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আপত্তি করে। আমিও জানিয়ে দিয়েছি, পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে চার ব্যাংকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের তুলনা চলে না। ওই চারটি ব্যাংকের মালিকানা এস আলম গ্রুপের কাছে ছিল। এসব ব্যাংক যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এক্সিমের ক্ষত ততটা নয়।
আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে দিয়েছি, এক্সিম ব্যাংক কিছুদিনের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে তারল্য–সহায়তা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী বছর থেকে ফেরত দেওয়া শুরু হবে। আমাদের ব্যাংক থেকে কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েননি। আমাদের আমদানি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের যে ব্যবসা আছে, তা অন্য চার ব্যাংকের চেয়ে বেশি। এসব ব্যাংক মিলে একটা সরকারি ব্যাংকে রূপান্তর করা হলে তা কোনোভাবেই ভালো হবে না। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের একীভূত করার সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না।
এক্সিম ব্যাংকের যতটা ক্ষতি গত সরকারের সময়ে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে গত ১০ মাসে। কয়েক দফায় বলা হয়েছে, এক্সিম ব্যাংক দুর্বল, এক্সিম ব্যাংক একীভূত হবে। এর ফলে দফায় দফায় আমাদের ব্যাংকের গ্রাহকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাতে ব্যাংকের তারল্য–সংকটে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হয়। এ ছাড়া বিদেশিদের দিয়ে ঋণের মান পরীক্ষায় প্রায় অর্ধেক ঋণ খেলাপি হওয়ার যোগ্য বলে জানিয়েছে, যা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। বাণিজ্যিক (ট্রেডিং) ঋণে কখনো শতভাগ জামানত থাকে না, বিদেশিরা জামানত কম পেলেই তা খেলাপি হিসেবে ধরেছে। এ ছাড়া এস আলমের ঋণ নিয়মিত থাকলেও তা খেলাপি বলা হচ্ছে। এভাবে ধরলে সব ব্যাংকের ঋণ অর্ধেক খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা মনে করি, যথাযথ বাছবিচার ও হিসাব করে একীভূত করার সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
নজরুল ইসলাম স্বপন, চেয়ারম্যান, এক্সিম ব্যাংক