যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আজ চতুর্থ দফায় আলোচনায় বসছে ইরান
Published: 11th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চতুর্থ দফায় পরমাণু আলোচনায় বসছে ইরান। আজ রোববার ওমানে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গত শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে নতুন পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্সের
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বক্তব্যে আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘আলোচনা এগিয়ে চলছে। আমরা যত এগোচ্ছি, তত বেশি পরামর্শ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধিদলগুলোর আরও সময় লাগছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা ইতিবাচক অগ্রগতির পথে রয়েছি এবং ধীরে ধীরে খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রবেশ করছি।’
আজ রোববার ওমানের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও অংশ নিতে পারেন। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্রাইটবার্ট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি বলেছেন, ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চান না। যুক্তরাষ্ট্র ‘তাদের এই কথা আস্থায়’ নেবে।
আগের তিন দফার মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এবারের আলোচনাও হবে পরোক্ষ। চতুর্থ দফার আলোচনা ৩ মে ইতালির রাজধানী রোমে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে’ তা স্থগিত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ওমান। এসব আলোচনায় মূলত ওমানই মধ্যস্থতা করছে।
শুক্রবার এক আলাদা বিবৃতিতে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ বদর আল–বুসাইদি বলেন, ‘ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের’ পর চতুর্থ দফার আলোচনার নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এই আলোচনা রোববার ওমানের রাজধানী মাসকটে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আব্বাস আরাগচি আজ শনিবার কাতার ও সৌদি আরব সফর করেন। সেখানে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারমাণবিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল ইরান। ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নজরদারি করার জন্য এই চুক্তি করা হয়, যাতে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে। চুক্তি করার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে একতরফা বের হয়ে যান। ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপ: ৩২ দল নিশ্চিত, টিকিট পাওয়ার অপেক্ষায় ১৬
২০২৬ বিশ্বকাপকে ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো- এই তিন দেশে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে বসছে ফুটবলের ২৩তম মহাযজ্ঞ। ইতিহাসে এবারই প্রথম ৪৮ দল নিয়ে হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের মূল পর্ব।
বাছাই পর্বের লড়াই শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বকাপের টিকিট পকেটে পুরে ফেলেছে ৩২ দল। বাকি ১৬ জায়গা এখনো খোলা। যেগুলোর মালিকানা নির্ধারণ হবে মার্চের প্লে-অফে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে এখন চলছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ, দাবায় উত্তেজনাপূর্ণ গাণিতিক হিসাব।
আরো পড়ুন:
পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট ও কোনো গোল হজম না করেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড
অদম্য স্পেন বিশ্বকাপের দোরগোড়ায়
ইউরোপে রোমাঞ্চ, ইতালির সামনে কঠিন পথ:
রবিবার ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে দুই বড় জয়ের মধ্য দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে নরওয়ে ও পর্তুগাল। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে নরওয়ে নিশ্চিত করেছে তাদের জায়গা। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার জালে গোলের বন্যা বইয়ে ৯-১ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নিয়ে টিকিট নিশ্চিত করেছে পর্তুগালও।
ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, পর্তুগাল ও নরওয়ে জায়গা পেয়ে গেলেও স্পেন, জার্মানি, বেলজিয়ামদের অপেক্ষা এখনো শেষ হয়নি। আর ইতালিকে যেতে হবে মহাদেশীয় প্লে-অফের কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিণ আমেরিকা: কোটা পূর্ণ
এশিয়া থেকে আটটি দল ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার, উজবেকিস্তান। আরেকটি সুযোগ আছে প্লে-অফে। যেখানে লড়বে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাক।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকেও নির্ধারিত ছয় দলের সবাই জায়গা পেয়ে গেছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ে। বলিভিয়া অপেক্ষায় আছে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের।
আফ্রিকা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৯ দলের কোটা পূরণ করেছে- আলজেরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিশর, ঘানা, মরক্কো, তিউনিসিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেপ ভার্দে ও সেনেগাল। প্লে-অফে সুযোগ পেয়েছে কঙ্গো।
ওশেনিয়া ও কনকাকাফে শেষ লড়াই:
ওশেনিয়া অঞ্চলে নিশ্চিত হয়েছে নিউ জিল্যান্ড। নিউ ক্যালেডোনিয়া যাবে প্লে-অফে।
কনকাকাফে আয়োজক তিন দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো আগেই নিশ্চিত। বাকি তিন আসনের দৌড়ে এগিয়ে আছে সুরিনাম, কুরাসাও ও হন্ডুরাস। দু’টি দল পাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলার সুযোগ।
চূড়ান্ত প্লে-অফ: মার্চে ভাগ্য নির্ধারণ
মার্চ ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের শেষ এবং সবচেয়ে নাটকীয় লড়াই- ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্লে-অফ।
এখানের ৬ দলের মধ্য থেকে দুটি দল পাবে মূল পর্বের শেষ দুটি টিকিট।
অংশ নেবে—
১টি দল আফ্রিকা থেকে
১টি এশিয়া থেকে
২টি কনকাকাফ থেকে
১টি ওশেনিয়া থেকে
১টি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে।
এই ম্যাচগুলো আয়োজক দেশের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে, টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি যাচাইয়ের অংশ হিসেবে।
৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ড্র:
সব দল চূড়ান্ত হওয়ার পর ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। এরপরই জানা যাবে কোন দল কোন গ্রুপে। আর কাদের বিপক্ষে শুরু হবে ফুটবলের পরবর্তী মহাযুদ্ধ।
ঢাকা/আমিনুল