লাইট, ক্যামেরা ছেড়ে ২২ গজের মাঠে নেমেছেন শোবিজ তারকারা। ফলে জমে উঠেছে তারকাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ (সিসিটি)। আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ফাইনালে দুটি দলের নেতৃত্বে দেবেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও নির্মাতা মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল রাজ।

চার দলের  লড়াইয়ের পর আজ বিকেল ৪টায় ফাইনালে মাঠে নামবে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে ‘স্বপ্নধরা স্পার্টানস’ ও নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজের নেতৃত্বে ‘টাইটানস’। ইনডোরে খেলা হলেও এবার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হচ্ছে খেলা।

৫ মে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ফ্লাডলাইটের আলোয় শুরু হয় ম্যাচগুলো। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ সাতটি। এরই মধ্যে বাদ পড়েছে নাইট রাইডার্স ও জেভিকো কিংস।
 
‘স্বপ্নধরা স্পার্টানস’-এর হয়ে মাঠে নামবেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, পিন্টু ঘোষ, শ্যামল মাওলা, দীপা খন্দকার, নাবিলা বিনতে ইসলাম, জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া, আয়েশা মনিকা, তন্ময়, প্রত্যয় খান, জয় চৌধুরী, সাজ্জাদ খান শান প্রমুখ।

টাইটানসের হয়ে মাঠে নামবেন মোস্তফা কামাল রাজ, সিয়াম আহমেদ, মেহজাবীন চৌধুরী, শরিফুল রাজ, রাফসান সাবাব, সাইদুল রহমান পাভেল, আরফিন রুমি প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ য় স উদ দ ন স ল ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ