অনিয়মের অভিযোগে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আব্দুস ছাত্তারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন আট ইউপি সদস্য। গত সোমবার ওই ইউনিয়ন পরিষদের এক জরুরি সভা শেষে ইউএনওর কাছে এ আবেদন জানান তারা। 

মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী উছমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই জরুরি সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আব্দুস ছাত্তারের পরিবর্তে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এবং পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান তালুকদারকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউপি সদস্যরা তাদের লিখিত সিদ্ধান্তের একটি কপি ইউএনওর কাছে জমা দিয়েছেন। 

সভায় অন্য ইউপি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য কাকলী রানী তালুকদার, জেসমিন আক্তার ও রোকেয়া আক্তার এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান তালুকদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন বর্মণ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুশীন চন্দ্র বিশ্বাস। এ ছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরশাদ মিয়া ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রাণ গোপাল পলাতক রয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ইউপি পরিষদে আসছেন না।

গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু আত্মগোপনে যান। পরে তিনি মাস দুয়েক সময়ের জন্য নিয়মমাফিক ছুটি গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি আর পরিষদে ফেরেননি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ২০২৪/৭২ স্মারকমূলে ইউপি সদস্যরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তারকে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান তালুকদারকে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ নির্বাচিত করেন। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আব্দুস ছাত্তার নিয়মিত অফিস করেন না, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অনৈতিকভাবে টাকা উত্তোলন, ইউপি পরিষদের বিভিন্ন অনুদান তাঁর আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের দিয়ে দেওয়া ও নিজ এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করেন। এতে করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আব্দুস ছাত্তার জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কাজ ভালোভাবে চলছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১-এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে পরিবর্তন করে প্যানেল চেয়ারম্যান-২-কে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। এ ব্যাপারে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইটনায় ইউএনওর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হানুল ইসলামের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে আব্দুর নূর (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আব্দুর নূর ইটনা সদরের বড়হাটি গ্রামের মৃত খুর্শিদ মিয়ার ছেলে।

ইউএনও রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘‘স্থানীয় কয়েকজন উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে জুয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই মাঠে খেলাধুলার বিষয়ে কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতাধিক দুর্বৃত্ত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় আমার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দিতে চাইলে আনিস মিয়া নামে এক এসআইসহ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য আহত হন। ঘটনার সময় আমি বাসার বাহিরে ছিলাম। হামলাকারীরা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় আহত এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে ইটনা থানায় মামলা করেছেন।’’

আরো পড়ুন:

প্রবাসীর পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩০ হাতবোমা

গাছের পাতা খাওয়ায় কুপিয়ে মারা হলো ছাগলকে

ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘ইউএনওর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন এক আনসার সদস্য। মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/রুমন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইটনায় ইউএনওর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১
  • ‘চিরতরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন’ করার ঘোষণা সুনামগঞ্জের কৃষক লীগ নেতার
  • পুলিশের লাঠি নিয়ে তরুণকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা