গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সিটি করপোরেশনের ভবন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটি করপোরেশন আঞ্চলিক কার্যালয়-৬-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

আজ বুধবার সকালে একদল পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে সেখানে কাজ করতে দেখা যায়। স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সাইনবোর্ড সরিয়ে সেখানে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্রের নতুন সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আবদুল লতিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনাদের ফোন পেয়ে বিষয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সব সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সামনে লাগানো ব্যানার মুছে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, এখন থেকে সেখানে নিয়মিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে।

সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর, টঙ্গী পৌরসভাসহ ছয়টি ইউপি নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার। ইউপি কার্যালয়গুলোর জমি ও ভবন সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। তবে সাবেক বাসন ইউপির ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া করা ভবনে আঞ্চলিক কার্যালয় করা হয়। এরপর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে পাশে একটি নতুন ভবনে চান্দনা ডাকঘর-১৭০২-এর কার্যক্রম চলছে। সম্প্রতি পরিত্যক্ত ভবনটি দখল করে স্বেচ্ছাসেবক দলের বাসন থানা কার্যালয় ও আরেকটি কক্ষে শাটার লাগিয়ে থানা যুবদলের কার্যালয় করা হয়েছিল।

আজ সকালে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একদল পরিচ্ছন্নতাকর্মী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। কক্ষগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাইরে থাকা ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কর্মীরা বলেন, এখন থেকে এটি নিয়মিত খোলা থাকবে এবং টিকাদানকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পাশের ডাকঘরটিও খোলা হয়েছে।

ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ফারজানা আক্তার বলেন, চার থেকে পাঁচ দিন আগে স্থানীয় লোকজন সিটি করপোরেশনের ভবনটি দখল করেন। পরে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এখানে দলীয় কার্যালয় হলে তাঁদের কাজেও সমস্যা হতো। আজ সকাল থেকে দেখছেন, সিটি করপোরেশনের লোকজন তাঁদের উচ্ছেদ করে টিকাদানকেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছে। কাজটি খুবই ভালো হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সাইনবোর্ড থাকলেও এখন কেউ দায়িত্ব স্বীকার করছেন না, কারা এটি করেছেন। তবে যাঁরাই করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের ভবনে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের কার্যালয়২০ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ইনব র ড

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।

আরো পড়ুন:

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার

১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়

যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।

ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ