গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের ভবন থেকে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের কার্যালয় উচ্ছেদ
Published: 14th, May 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সিটি করপোরেশনের ভবন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটি করপোরেশন আঞ্চলিক কার্যালয়-৬-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
আজ বুধবার সকালে একদল পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে সেখানে কাজ করতে দেখা যায়। স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সাইনবোর্ড সরিয়ে সেখানে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্রের নতুন সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর, টঙ্গী পৌরসভাসহ ছয়টি ইউপি নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার। ইউপি কার্যালয়গুলোর জমি ও ভবন সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। তবে সাবেক বাসন ইউপির ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া করা ভবনে আঞ্চলিক কার্যালয় করা হয়। এরপর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে পাশে একটি নতুন ভবনে চান্দনা ডাকঘর-১৭০২-এর কার্যক্রম চলছে। সম্প্রতি পরিত্যক্ত ভবনটি দখল করে স্বেচ্ছাসেবক দলের বাসন থানা কার্যালয় ও আরেকটি কক্ষে শাটার লাগিয়ে থানা যুবদলের কার্যালয় করা হয়েছিল।
আজ সকালে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একদল পরিচ্ছন্নতাকর্মী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। কক্ষগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাইরে থাকা ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কর্মীরা বলেন, এখন থেকে এটি নিয়মিত খোলা থাকবে এবং টিকাদানকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পাশের ডাকঘরটিও খোলা হয়েছে।
ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ফারজানা আক্তার বলেন, চার থেকে পাঁচ দিন আগে স্থানীয় লোকজন সিটি করপোরেশনের ভবনটি দখল করেন। পরে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এখানে দলীয় কার্যালয় হলে তাঁদের কাজেও সমস্যা হতো। আজ সকাল থেকে দেখছেন, সিটি করপোরেশনের লোকজন তাঁদের উচ্ছেদ করে টিকাদানকেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছে। কাজটি খুবই ভালো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সাইনবোর্ড থাকলেও এখন কেউ দায়িত্ব স্বীকার করছেন না, কারা এটি করেছেন। তবে যাঁরাই করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের ভবনে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের কার্যালয়২০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ইনব র ড
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে একটি মহল: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। হাসিনার পতনের পরেও একটি মহল আমাদের চিরচেনা সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে না এনে বরং বিনষ্ট করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর শ্লীলতাহানি ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক ও মহল বিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। দুস্কৃতিকারীরা আশকারা পেয়ে সমাজবিরোধী নানা অপকর্মে মেতে উঠেছে। আর এ ক্ষেত্রে তারা দেশ-বিদেশ থেকে অবিরাম মদদ পাচ্ছে। উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাতেই ব্যস্ত থাকেন তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা। এই বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের গোপন অভিযান চালিয়ে উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা বিপজ্জনক গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশির্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে হবে সুস্থ সমাজ ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা মানবসভ্যতার শত্রু। অবিলম্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনকারী দুস্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানাচ্ছি।